কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ‘জেলায় ভোটার বাড়লে নির্বাচন কমিশনকে জানান, অডিট করার আবেদন করুন।’ বহরমপুরে কিষাণ মোর্চার সভায় এসে উপস্থিত ভুয়ো ভোটার সম্পর্কে নাগরিকদের এভাবেই সাবধান করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার বহরমপুর গ্র্যান্ড হলে কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপি কিষাণ মোর্চার ডাকে নাগরিক সভায় উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এছাড়া এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ জোন কিষাণ মোর্চার কনভেনর শাখারভ সরকার, সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রবোধ কুমার মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদিকা রঞ্জিতা দাস-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ, মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে ভোটার তালিকা কী করে বেড়ে যাচ্ছে সেদিকে নজর দিতে হবে। বহরমপুরের মতো হঠাৎ করে অন্য একটা শহর হলে ভোটার বেড়ে যেত। কিন্তু, সেটা যখন নয় তখন কী করে ভোটার তালিকায় নাম বাড়ছে সেদিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে অডিট করার দাবি তুলুন মুর্শিদাবাদবাসী। আমফান ঝড় হওয়ার পর কোনও উন্নয়ন নেই রাজ্য সরকারের। অথচ সেখানে ভোটার তালিকা বাড়ছে। পরিকল্পিতভাবে এটা হচ্ছে। তাই আপনারা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করতে পারেন যে নতুন ভোটার অডিট হোক। অডিট হওয়া খুব দরকার মুর্শিদাবাদে।’
[আরও পড়ুন: জেলা পরিষদে তোয়ালের রং বদল! দল বদলের ইঙ্গিত নাকি? কী বলছেন সভাধিপতি?]
তিনি আরও বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলায় একটা সময় ছিল যখন বিজেপি কোণঠাসা হয়ে যেত। এখন পরিস্থিতি অন্য। এখন সরাসরি লড়াই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল বা কংগ্রেসের। ফলে এবার ভোট নষ্ট করা চলবে না। কারণ এবারের লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার। আমরা মনে করি বাংলায় সকলের সম্মান থাকা উচিত। যা এখন এই রাজ্যে নেই। তাই নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকলে সকলে সমঝোতা করে নিন। এই সুযোগ আর হারাবেন না।
অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা বলেন, ‘এই বহরমপুর অধীরদার গড় বলে পরিচিত। কিন্তু, সেই গড় রাখতে পারছেন না উনি। কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। তাই এই সুযোগ হারাবেন না।’
অন্যদিকে তৃণমূল সরকারের তুমুল সমালোচনা করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের কৃষকরা প্রায় অর্ধাহারে রয়েছেন। সেই সময় তৃণমূল সরকার কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন। কৃষকদের স্বাধীনতা-সহ ফসল কেনাবেচার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা কিষাণ মোর্চার উদ্দেশ্য। আর আমাদের না যে বদনাম দেওয়া হয় সেই সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বিভাজনও করতে চায় না বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন জনসেবামূলক প্রকল্পের কথা নিয়ে সমস্ত মানুষের কাছে যাচ্ছে বিজেপি।’