বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বাংলার গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস নিয়ে বইপ্রকাশ। প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। অথচ সেই অনুষ্ঠানে পাহাড়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ছাড়া হাজির হলেন না বাংলার কোনও সাংসদ, বিধায়ক বা সংগঠনের কোনও হেভিওয়েট নেতা। এমনকী, প্রকাশিত পুস্তক ‘ডেমোক্রাসি ইন কোমা’র বিষয়বস্তু যখন মহিলাদের উপর নির্যাতন তখন দেখা মেলেনি বাংলার গেরুয়া শিবিরের দুই মহিলা সাংসদের কাউকেই। সেখানে বাংলায় সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বিধানসভা ভোট চলাকালীন প্রচারে কীভাবে তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছিল সেই বর্ণনা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেইসঙ্গে টেনে আনেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গও।
শুক্রবার দিল্লির একটি প্রেক্ষাগৃহে পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলা ও কেরলকে একই বন্ধনীতে বাঁধেন নাড্ডা। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজ্য থেকে কীভাবে মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। সরাসরি আইএসআইএসের মতো উগ্রপন্থী সংগঠনে যুক্ত করা হচ্ছে সেই ঘটনা দেখানো হয়েছে। তাঁর দাবি, বাংলায় যা চলছে তা গল্প নয়। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় এখনও পর্যন্ত তাঁদের ৫৭ জন কর্মী খুন হয়েছেন। ১৮ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। সিবিআই, এনআইএ’র মতো এজেন্সিকে সক্রিয় হতে হয়েছে আদালতের নির্দেশে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন্তিত বলেও জানান জে পি নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরিহারাদের দায় পর্ষদ অস্বীকার করবে না’, আইনি পথে হাঁটার ইঙ্গিত সভাপতির]
নাড্ডার কথায়, “২১ সালে ভোট গণনার দিন সারারাত ঘুমোতে পারিনি। একের পর এক ঘটনার খবর আসতে থাকে। বাধ্য হয়েই বেশি রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হই। দলের শীর্ষনেতৃত্বকে বাংলায় যাওয়ার নির্দেশ দিই।” নির্বাচনের আগে এবং পরে হিংসার কথা বলতে গিয়ে বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। নাড্ডার দাবি, মহিলাদের উপর অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনায় বাংলা প্রথম। আর পণের বলির নিরিখে রাজ্য চতুর্থ। এরপরেই ১০০দিনের কাজ, মিড ডে মিল ও আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন তিনি।