সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীরা ৫, বিজেপি ০। গোটা দেশের ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল গেরুয়া শিবিরকে বেশ ভালমতোই ধাক্কা দিল। ৪ বিধানসভা এবং ১টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে খাতা পর্যন্ত খুলতে পারল না বিজেপি বা তাদের জোটসঙ্গীরা।
বাংলার দুই কেন্দ্র আসানসোল (Assansol) এবং বালিগঞ্জে তৃণমূলের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বিজেপি প্রার্থীরা। বালিগঞ্জের বিজেপি (BJP) প্রার্থী কেয়া ঘোষ বামেদের থেকেও অনেক পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান কোনওক্রমে ধরে রাখলেও ভোটের ব্যবধান বিরাট। অথচ, এই আসানসোল কেন্দ্রটিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও বিরাট ব্যবধানে জিতেছিলেন তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিজেপির যে অধোগতি শুরু হয়েছে তা কমবেশি এই নির্বাচনেও বজায় রইল।
[আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ সবাইকে! পাঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেই বড় ঘোষণা আপের]
বাংলার বাইরে আরও তিন রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ (By Election results) হয়েছে শনিবার। তিন রাজ্যেই বেশ ভাল ব্যবধানে হারতে চলেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের কোলাপুর উত্তর আসনটি ফের কংগ্রেসের দখলেই যেতে চলেছে। ছত্তিশগড়ের খাইরগড় আসনটিও এবার দখল করতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)। আগামী বছর ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জনতা কংগ্রেসের হাত থেকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিল হাত শিবির। যা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের জন্য অক্সিজেনের কাজ করবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিহারের একটি আসনের উপনির্বাচনে শাসক বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছে তেজস্বী যাদবের আরজেডি (RJD)। বিহারে বিজেপির শরিকি কোন্দলের মধ্যে আরজেডির এই জয়ও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি, রাগের মাথায় ৩ মাসের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন তরুণীর]
সদ্যই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল ফল করে বিজেপি (BJP)। প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, গোয়া দখল করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তারপরই লাগাতার জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। অথচ কেন্দ্র সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নজিরবিহীনভাবে উদাসীন। সম্ভবত সেকারণেই উপনির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হতে হল গেরুয়া শিবিরকে। যদিও বিজেপির দাবি, যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছিল, তার অধিকাংশই বিরোধীদের দখলে ছিল। তাছাড়া উপনির্বাচনে শাসকদলের জয়ের প্রবণতাই বেশি থাকে। মহারাষ্ট্র, বাংলা এবং ছত্তিশগড়ে বিরোধীদের জয়কে তাই বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।