সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল জার্মানির সরকার। জার্মান (Germany) বিদেশ মন্ত্রকের এহেন অবস্থানকে ধন্যবাদ জানায় কংগ্রেস। তারপরেই কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দেগে বিজেপি দাবি করে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইছে রাহুল গান্ধীর দল। নির্মলা সীতারমণ, কিরেণ রিজিজুর মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য-সকলেই একযোগে এই দাবি করেছেন।
রাহুল ইস্যুতে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্র বলেন, “আমরা যতদূর বুঝেছি তাতে রাহুল গান্ধী এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তারপরই স্পষ্ট হবে এই রায় এবং তাঁর সাংসদ পদ বাতিলের বিষয়টির কোনও ভিত্তি আছে কিনা। আমরা আশা রাখি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্ষেত্রেও বজায় রাখা হবে।” এই মন্তব্যের পর ধন্যবাদ জানিয়ে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, “রাহুল গান্ধীকে সাজা দিয়ে ভারতে কীভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য জার্মানি বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ।”
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে দেখভালের দায়িত্ব স্বামীর, ভিক্ষে করে হলেও খোরপোশ দিতে হবে! জানাল আদালত]
দিগ্বিজয়ের এই মন্তব্যের পরেই সরব হয় বিজেপি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইছে কংগ্রেস। দিগ্বিজয়ের এই মন্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইটে লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ডেকে আনার জন্য রাহুল গান্ধীকে অনেক ধন্যবাদ। তবে মনে রাখবেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রভাব পড়বে না। বিদেশিদের হস্তক্ষেপ একেবারেই মেনে নেবে না ভারত, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদি।”
কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জয়বীর শেরগিল। বর্তমান বিজেপি মুখপাত্র জয়বীর বলেন, “রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলির মন্তব্য শুনে খুশি হচ্ছে কংগ্রেস। ভারতীয় ভোটাররা কংগ্রেসকে বাতিল করে দিয়েছে, তাই বিদেশের কাছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাইছে। বিষয়টা খুবই দুঃখের।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে বলেন, ” ভারতীয় জনতার ইচ্ছা ও ভারতের সার্বভৌমত্ব-দুটোকেই ছোট করে দেখাতে চাইছে কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার বিদেশি নেতাদের থেকে সমর্থন ভিক্ষা চাইছেন কংগ্রেস নেতারা।”