রাজা দাস, বালুরঘাট: ভোটে প্রাণহানি না হলেও অব্যাহত অশান্তি। ভোটের পরেও বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। সে প্রসঙ্গে এবার 'এনকাউন্টার' হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)।
শনিবার সপ্তম দফার ভোট মিটতে না মিটতেই রক্ত ঝরে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। গুলি করে মাথা কেটে এক বিজেপি সমর্থককে খুন করা হয় বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই জোরাল হুঁশিয়ারি সুকান্তর। তিনি বলেন, "ভোট-পরবর্তী হিংসা নদিয়া, বসিরহাটে শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতা মানে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র, সেখানেও আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটানো, ধমকানি-চমকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল আসলে বুঝতে পেরে গিয়েছে, তাদের সময় আসন্ন।" সুকান্তর হুঁশিয়ারি, "গুন্ডা, বদমাইশদের বলে দিতে চাই, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যদি বিজেপিরও কোনও ঝান্ডাধারীর হাত ধরে দলে আসেন, বাঁচবেন না। উত্তরপ্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে, পুরো এনকাউন্টার হবে।"
[আরও পড়ুন: প্রস্তুতি ম্যাচে রোহিতকে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়লেন ভক্ত! কী করলেন হিটম্যান?]
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে 'রাফ অ্যান্ড টাফ' উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অপরাধমূলক কাজ রুখতে কখনও বুলডোজার আবার কখনও এনকাউন্টারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যদিও বুলডোজার কিংবা এনকাউন্টার তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই যোগীর পথে হেঁটে সমালোচিত সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূল তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব। তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, পরাজয় নিশ্চিত জেনে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।