বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নিজের জামাইবাবুকে দায়ী করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজিয়ার নাঘাটা এলাকায়। অভিযোগ, জামাইবাবু ওই কিশোরকে অশ্লীয় কথা বলত। এমনকী, অত্যাচারও করত। এমনকী, সম্পত্তি নিয়েও চাপ দিত। এই ঘটনায় জামাইয়ের পরিবারের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এখনও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত ওই কিশোরের নাম রাকেশ দে (১৭)। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ার নাঘাটা এলাকাতেই। সোমবার সকালে ঘর থেকে ওই কিশোরের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা রয়েছে,’আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার জামাইবাবু। তিনি আমাকে অনেক অশ্লীল কথাবার্তা বলেছেন। বলেছেন, আমি মরে গেলে আমার বোনকে তিনি মেনে নেবেন। তাই আমি আমার জীবন দিয়ে আমার বোনের সংসার বাঁচালাম।’ মৃত ওই কিশোরের বাবা বাসুদেব দে-ও তার ছেলের মৃত্যুর জন্য নিজের জামাইকে দায়ী করে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
[আরও পড়ুন: চার দফায় বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত বাতিল, ‘এক পদ, এক পেনশন’-এ বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
বাসুদেব দে অভিযোগ করেছেন,৫ বছর আগে তাঁর মেয়ে প্রতিমার সঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জ থানার খাটুরা পালপাড়ার বাসিন্দা আনন্দ কর্মকারের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর থেকেই জামাই আনন্দ কর্মকার মেয়ের উপরে টাকাপয়সার জন্য চাপ দিয়ে অত্যাচার চালাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ছেলে রাকেশ দে’র উপর অত্যাচার করত আনন্দ। রাকেশকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত। এমনকী, রবিবার রাতেও ফোন করে রাকেশকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে। রাকেশের মৃত্যুর জন্য জামাই মূল দায়ী।