শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) স্কুলপড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। বাড়ির রান্নাঘরের পিছন থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের কানকি ফাঁড়ি এলাকার মাটিয়াড়ির বাসিন্দা বিশাল সাউ। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে। পড়ত কানকি জৈন বিদ্যামন্দিরে। দিনভর মোবাইল গেমেই ব্যস্ত থাকত সে। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার পাবজি খেলার নাম করে বন্ধুরা বিশালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বিশালের খোঁজ মেলেনি। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি কিশোর। পরিবারের সদস্যরা এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলেও কোনও লাভ হয়নি। রবিবার সকালে বাড়ির রান্নাঘরের পিছনে পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ক্ষতবিক্ষত দেহ।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানা থেকে তারাপীঠে এসে অভিনব কায়দায় এটিএম জালিয়াতি, গ্রেপ্তার আন্তঃরাজ্য চক্রের ৩]
দেহটি নজরে পড়তেই খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে দেহ। জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিশালের হাত-পা এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বিশালকে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কোপানো হয় তাকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৪ জনকে। ধৃতরা সকলেই বিশালের বন্ধু।
কিন্তু কী কারণে এই খুন? তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। গেম খেলা নিয়েই কি ঝামেলা হয়েছিল? নাকি অন্য কোনও কারণে এই নৃশংসতা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশালের হত্যাকাণ্ডে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।