তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর অবশেষে তিস্তা ক্যানালে মিলল শিলিগুড়ির (Siliguri) রেনুকা খাতুনের দেহাংশ। তবে এখনও মেলেনি মহিলার মুন্ডু। এখনও চলছে তল্লাশি। ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য।
আদতে ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা মহম্মদ আনসারুল ও তাঁর স্ত্রী রেনুকা। বছর সাতেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সংসার। বছর ছয়েক আগে শিলিগুড়ি চলে আসে ওই দম্পতি। সেখানেই থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় যায় মহম্মদ আনসারুল। জানায়, স্ত্রী রেনুকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আনসারুলের আচরণ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরই জানা গিয়েছিল, স্ত্রীকে খুনের পর দেহ টুকরো করেছে স্বামী। ফেলে দিয়েছে তিস্তা ক্যানেলে।
[আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করেছে প্রভাবশালীরা? তথ্যের খোঁজে সিউড়ির সমবায় ব্যাংকে সিবিআই হানা]
এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। গতকাল দুপুর থেকে তিস্তা ক্যানালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে জলস্তর নামলে মেলে বস্তাবন্দি দেহাংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহাংশ মিললেও এখনও উদ্ধার হয়নি রেনুকার মুন্ডু। সেটির খোঁজ চালানো হচ্ছে।
এদিকে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আগেই উঠে এসেছিল পরকীয়ার তত্ব। শোনা গিয়েছিল, বিউটিশিয়ান কোর্স করছিলেন রেনুকা। তার জেরে স্বামীর সন্দেহ তৈরি হয় যে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন বধূ। এদিকে মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের একাংশের দাবি, অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রেনুকা। তা নিয়েও কি তবে অশান্তি ছিল যুগলের মধ্যে? যার পরিণতিতেই প্রাণ গেল রেনুকার? পুরোটাই এখনও ধোঁয়াশা। মৃতা আদৌ অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কি না, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।