সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষার পড়া হয়নি। তাই পরীক্ষা পিছনোর সহজ উপায় হিসাবে স্কুলে হুমকি মেল পাঠাল পড়ুয়া! একবার-দুবার নয়, মোট ২৩ বার এমন হুমকি মেল পাঠিয়েছে সে। দিল্লিজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। আপাতত তাকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ।
গত মাস থেকেই দিল্লির একাধিক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। পূর্ব কৈলাশের দিল্লি পাবলিক স্কুল, সালওয়ান স্কুল, মডার্ন স্কুল, কেম্ব্রিজ স্কুল-সহ ছটি স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অভিভাবকদের মেসেজ করা হয়, তাঁরা যেন ছেলেমেয়েদের স্কুলে না পাঠান। নতুন বছরেও বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা বন্ধ হয়নি। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীর ১০টি স্কুলে বোমা রয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়ায়।
এহেন পরিস্থিতিতে তদন্ত করতে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অন্তত তিনটি স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে সেখানকার পড়ুয়ারা। তারপরেই আটক করা হয় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে। দক্ষিণ দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানান, দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া অন্তত ২৩ বার ভুয়ো ইমেল পাঠিয়ে নানা স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই প্রথমবার নয়, আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তার একটাই উদ্দেশ্য, কোনওভাবে যেন পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। সেজন্যই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জেরায় সমস্ত অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে অভিযুক্ত।
এই প্রথমবার নয় অবশ্য। পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে রাজধানীতে। গত মাসে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের এক আধিকারিক জানান, স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল দুই ভাইবোন। পুলিশ আধিকারিকের কথায়, দিল্লিতে বেশ কয়েকবার বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং তার জেরে স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই দেখেই স্কুলে ভুয়ো ইমেল পাঠানোর ফন্দি আঁটে দুই পড়ুয়া। কেবল নিজের স্কুল নয়, আরও দুটি বিদ্যালয়ে বোমা রাখা রয়েছে বলে ভুয়ো ইমেল পাঠিয়ে দেয় তারা। তবে দুই পড়ুয়াকে সেরকম কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাদের বাবা-মাকে ডেকে সতর্ক করা হয়।