জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলেছিলেন স্বামী, বাধাও দিয়েছিলেন| সেই বাধা সহ্য করতে পারেননি গৃহবধূ। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে প্রথমে স্বামীকে মারধর, পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে বনগাঁর গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার সকালে বনগাঁর নিমতলা এলাকার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল। স্ত্রী এবং তার প্রেমিকই খুনের ঘটনায় জড়িত, এই অভিযোগে তাদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিবেশীরা।
মৃত রাজু কুণ্ডু।
রবিবার সকালে নিমতলার বাসিন্দা রাজু কুণ্ডুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে| গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই দেহ চোখে পড়ে প্রতিবেশীদের। তাঁরা তৎক্ষণাৎ বনগাঁ থানার পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন করে ওভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, স্ত্রী পূজা কুণ্ডু নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে 'বাধা' কাটাতেই রাজুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এতে তাকে সাহায্য করেছে প্রেমিক অনিল মালও।
[আরও পড়ুন: প্যারিসে ‘চক দে ইন্ডিয়া’, প্যারালিম্পিকে সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স ভারতের]
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর, মাস সাতেক ধরে রাজুর স্ত্রী পূজার সঙ্গে বনগাঁ কুড়ির মাঠ এলাকার অনিল মালের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এনিয়ে প্রায়শয়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল চলত| মাস তিনেক আগে স্বামী ও তিন সন্তানকে রেখে পূজা বাড়ি ছেড়ে গিয়ে অনিলের সঙ্গে থাকতে শুরু করে| পরে রাজু ও পরিবারে লোকজন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। অনিলকে নিয়ে তার পরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, গন্ডগোল হতো। অভিযোগ, শনিবার রাতে পূজার প্রেমিক অনিল রাজুকে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়। ভোর রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় রাজুর ঝুলন্ত দেহ। তা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত পূজা ও অনিলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সকালে বনগাঁ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।