সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রেক্সিট ইস্যুতে ক্রমশ কোণঠাসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। রবিবার রাতে রক্ষণশীল দলের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনাতেও মিলল না রফা সূত্র। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নিজের শহরতলীর বাসভবনে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে এমপি বরিস জনসন ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মে। তবে শেষমেশ নিট ফল দাঁড়ায় শূন্য।
[আরও পড়ুন: মাদক-পানীয় খাইয়ে বিমান সেবিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই পাইলট]
বিদ্রোহী এমপিদের অভিযোগ, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বলে গিয়েছেন মে। ইতিমধ্যে পার্লামেন্টে খারিজ হয়ে যাওয়া চুক্তির কথাই তিনি তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকেই অবিলম্বে মের পদত্যাগ করার দাবি উঠেছে। রবিবার এই নিয়েই সরগরম ছিল ব্রিটিশ মিডিয়া। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে অবশ্য টেরেসা মের পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। নতুন করে আর কোনও চুক্তি না হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার কথা ১২ এপ্রিল। কিন্তু, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রস্তাব দু’বারই পার্লামেন্টে পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয়বার তিনি পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উদ্যোগ নেবেন বলেই খবর। আজ রাতেই ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটগ্রহণ হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।
আগামীকাল না মঙ্গলবার ফের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ করানোর চেষ্টা করতে চলেছেন মে। তবে রবিবারে বৈঠকে রফা সূত্র না মেলায় বিপাকে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নিজেদের অনস্থান থেকে নড়বেন না বরিস জনসন-সহ অন্যান্য বিদ্রোহী রক্ষণশীল এমপিরা। ফলে গদি হারাতে পারেন মে। এবার প্রশ্ন উঠছে, তিন বছর ধরে চলা অচলাবস্থা কি এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে? টেরেসা মে’র যে প্রস্তাব ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দু’বার খারিজ করেছে, চুক্তিতে বিরাট কোনও পরিবর্তন না হলে সেটা কি মেনে নেবেন ব্রিটিশ এমপি-রা? ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব যেমন বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন, ততটাই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এমনকী, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কায় সমন্বয় রক্ষা করতে লন্ডনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে একটি বাঙ্কারে কমান্ড পোস্ট তৈরি করে ফেলেছে ব্রিটিশ সেনা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে দুই হিন্দু বোনকে ধর্মান্তর করে বিয়ে, রিপোর্ট তলব সুষমার]
The post ভেস্তে গেল বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠক, ব্রেক্সিট নিয়ে বিপাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.