জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নির্যাতনের অভিযোগ তুলে স্বামী-সংসার ছেড়েছিলেন বধূ। সেই বউমাকে ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) দ্বারস্থ শাশুড়ি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় (Gaighata)। বৃদ্ধার আরজি শুনে হতবাক মন্ত্রী।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের তরফে শুরু করা হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা জানছেন দিদির দূতরা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ধর্মপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরঙ্গ হাটি গ্রাম এলাকায় যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনছিলেন তিনি। সেই সময় তরঙ্গহাটি গ্রামের বাসিন্দা গীতা সরকার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সামনে পেয়ে তাঁর কাছে বউমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত গড়ে মোষে টানা গাড়িতে কয়লা পাচার, পুলিশি তৎপরতায় বাজেয়াপ্ত ১২ টন কালো হিরে]
অভিযোগকারীর বক্তব্য, ১৫ বছর আগে তাঁর ছেলের সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হরিণঘাটার থানার মাঝেরগ্রাম এলাকার স্বপ্না সরকারের সঙ্গে। সাত বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন বধূ। তারপরও মাঝে মধ্যে শ্বশুরবাড়ি এসেছেন। তবে গত ২ বছর ধরে বউমা আর আসেনি। বউমাকে নিয়েই সংসার করতে চান গীতাদেবী। তাই মন্ত্রীর কাছে আরজি জানিয়েছেন বধূকে ফিরিয়ে দেওয়ার।
বৃদ্ধার অভিযোগ শুনে মন্ত্রী বলেন, “এটা পারিবারিক ব্যাপার। এতে আমার করার কিছু নেই। তবুও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বলেছি কোনওরকম রং না দেখে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে।” প্রসঙ্গত, এদিন বনমন্ত্রী গোপোল এলাকায় একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। সেখানকার সাধারণ মানুষেরা বনমন্ত্রীকে জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। পাশাপাশি ওষুধের অভাবের কথাও জানান। জানান, বেশ কিছু পরিকাঠামগত অভাব রয়েছে। অভিযোগ শুনেই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন বনমন্ত্রী।