সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) শুরু হয়েছে ‘গ্লোবাল জেহাদ’। বিশ্বে খিলাফত স্থাপনের লড়াইয়ে তালিবানের ফৌজে রয়েছে উজবেক, তাজিক, কিরঘিজ, পাকিস্তানি ও ইরানি জঙ্গিরা। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এবার তালিবানের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ জেহাদিরা।
[আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানে শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করলে এক পয়সা সাহায্য নয়’ Taliban-কে কড়া বার্তা জার্মানির]
ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য সান’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আফগান সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে তালিবান শিবিরে যোগ দিয়েছে ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদীরা। সম্প্রতি জঙ্গিদের ফোন ট্যাপ করেছেন গোয়েন্দারা। সেখানেই ব্রিটিশ উচ্চারণে জঙ্গিদের কথাবার্তা শুনতে পেরেছেন তাঁরা। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে যেতেই ব্রিটিশ জেহাদিরা সক্রিয় হয়েছে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে? উত্তরে ব্রিটিশ সেনার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রথমে পাকিস্তানে প্রবেশ করছে ব্রিটিশ জেহাদিরা। তারপর কার্যত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পাক-আফগান সীমান্ত হয়ে তালিবানের শিবিরে যোগ দিচ্ছে তারা। বর্তমানে বছর তিরিশের বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ জেহাদি আফগানিস্তানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের উচ্চারণ লন্ডনের বাসিন্দাদের মতো। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যায় বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হচ্ছে শামিমা বেগম ও মহম্মদ এমওয়াজি ওরফে জেহাদি জন।
উল্লেখ্য, দু’দশক আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। কিন্তু এবছর মে মাস থেকে শুরু হয় সেনা প্রত্যাহার। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা। এই মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিল তালিবান। মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পরই নতুন করে আফগানভূমের দখল নিতে শুরু করে তালিবানরা। পালটা লড়াই চালাতে থাকে আফগান সেনা। মার্কিন সেনাও বাইরে থেকে সাহায্য করতে শুরু করে। সংঘর্ষে বহু তালিবান জঙ্গির মৃত্যু হলেও পিছপা হয়নি জঙ্গি গোষ্ঠীটি। অভিযোগ ওঠে, তালিবানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।