অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড়ের গণধর্ষণের (Titagarh Gangrape) ঘটনায় পুলিশের জালে তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাই। আগেই আরও ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ভিন রাজ্যে পালানোর সময় দিল্লির স্টেশন থেকে অভিযুক্ত জুনেইদ আখতারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত যুবক আবার টিটাগড় পুরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের ভাই। এবিষয়ের তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এমন গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যেই যুক্ত থাকুক না কেন সে ছাড় পাবে না। আইন আইনের পথে চলবে। এদিকে এদিন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনারও বদল করল নবান্ন।
শনিবার চার অভিযুক্তর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল আশিস মৌর্য বলেন, “কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। গত ৮ তারিখ অভিযোগের দিন সন্ধেয় সোদপুর থেকে গ্রেফতার হয় বিশাল। শুক্রবার মহঃ মহসিন ওরফে ছট্টু এবং তারিফ আলম ওরফে সনুকে আসানসোল থেকে গ্রেপ্তার হয়।” তিনি আরও জানান, “আমাদের কাছে খবর ছিল জুনেইদ ট্রেনে করে পালানোর চেষ্টা করছে। সেই মত শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির আলিগর স্টেশনের কাছ থেকে জিআরপি সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রসচিব হওয়ার পরই তৎপর পুলিশ, ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলার সম্পত্তি লুটের তদন্তে SIT]
অন্যদিকে, এদিনই তদন্তের অগ্রগতি জানতে টিটাগড় থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগও তুলেছে কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
টিটাগড় (Titagarh) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কয়লা ডিপো নিউ লাইন এলাকায় বুধবার রাতে ঘটেছে ঘটনাটি। ১৯ বছরের এক তরুণীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে, জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। আটিটাগড় থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমেছে বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেট।
দু’মাসের মধ্যেই পরিবর্তন করা হল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় কুমার ঠাকুরকে। পশ্চিমবঙ্গ সিভিল ডিফেন্সের ডিআইজি পদে এলেন তিনি। শিল্পাঞ্চলের নতুন কমিশনার হলেন অলোক রাজরিয়া। তিনি এতদিন বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। সিভিল ডিফেন্সের ডিআইজি শ্যাম সিং হলেন বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ভাটপাড়া জগদ্দলে পরপর কয়েকটি খুন এবং সম্প্রতি টিটাগড়ে বছর ঊনিশের তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনার কারণে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হল বলেই মনে করছেন অনেকে।