জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ (BSF)৷ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট-সহ বাসের চালক ও সহকারী চালককে আটক করে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিল বিএসএফ। সোনা উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর (Bongaon) পেট্রাপোল সীমান্ত বন্দরে৷ বিএসএফ জানিয়েছে, “বাসের লাগেজ বগির ভিতর থেকে ৩০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গ্রাম৷ আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। ধৃত বাসচালক মহম্মদ ফরহাদ ও সহচালক মহম্মদ উমর ফারুক বাংলাদেশের বাসিন্দা৷”
এদিন সকালে ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে, আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতাগামী (Kolkata) বাসটির মধ্যে সোনা রয়েছে। বাসটি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত (Petrapole border) বন্দরে আসতেই জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করেন৷ বাসের লাগেজ বগির ভিতর থেকে ৩০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। ধৃত বাস চালক ও সহচালককে আটক করে জেরা করে জওয়ানেরা জানতে পারেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। সোনা-সহ ধৃতদের পেট্রাপোলের শুল্ক দপ্তরের কার্যালয়ে হস্তান্তর করে দেন জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: পুরুষের বেশে ক্লাবে ঢুকে হামলা প্রীতিলতার, চট্টগ্রামের ক্লাব আজও বহন করছে ইতিহাসের সাক্ষ্য]
বিএসএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তারা আরও জানায়, এই বিস্কুটগুলি বাংলাদেশি (Bangladeshi) চোরাকারবারী মহম্মদ কামাল তাদের দিয়েছিল। কামাল ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এরপর এই বিস্কুট মহম্মদ জামাল নামে নিউ মার্কেটের এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য তাদের ১০,০০০ টাকা বরাত দেওয়া হয়। ১৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই কাজে সাফল্যও পেয়েছে। যার কারণে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে।