গোবিন্দ রায়: বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় মিছিল করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এক ট্রাস্ট। তাদের শর্তসাপেক্ষে মিছিল করার অনুমতি দিল উচ্চ আদালত। আজ, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটে পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি মিলেছে। এর পরই শুরু হয় মিছিল। রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
হাই কোর্ট জানিয়েছে, গোবর্ধন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে বেকবাগান পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে। তবে মিছিল হতে হবে শান্তিপূর্ণ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভিড় সরাতে লাঠি চার্জ করতে পারবে পুলিশ। মিছিলের এলাকায় কোনও সমস্যা তৈরি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। যদিও বিচারপতির মন্তব্য, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মিছিলের বিরুদ্ধে।" এর পরই মিছিল শুরু করে দেয় ট্রাস্ট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই মিছিলে হাজির রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে তিনি আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার পর থেকে বাংলাদেশে হামলার শিকার হন হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা। বিশেষ করে হিন্দুদের উপর আক্রমণের খাঁড়া নেমে আসে। বহু হিন্দুমন্দির ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই থেকেই জারি রয়েছে হিন্দুদের প্রতিবাদ। গত অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সনাতন জাগরণ মঞ্চ। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবিও রাখে তারা। নানা দেশও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
কয়েকদিন আগেই ইসকন নিয়ে এক মুসলিম ব্যবসায়ীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বাংলাদেশের বন্দরনগর চট্টগ্রাম। প্রতিবাদে পথে নামেন সেখানকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আর এই বিক্ষোভ কড়া হাতে দমন করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগ, চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় বাড়িতে ঢুকে হিন্দুদের মারধর করে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। একের পর এক এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার কলকাতার রাস্তায় মিছিল।