গোবিন্দ রায়: জাল নথি দিয়ে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি মামলায় আগেই সিআইডির হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ফের হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে সিআইডির তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও রাজ্যের ভূমিকা।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ,”যথেষ্ট সময় আপনাদের দিয়েছি এই তদন্তের জন্য। এরকম বেআইনি কাজ হচ্ছে রাজ্য জানে না? বোর্ড জানে না? এগুলো হচ্ছেটা কী?” এরপরই তাঁর নির্দেশ, “আমি প্রত্যেক অফিসারের নাম ও পদের নাম জানতে চাই। সাতদিন সময় দিলাম। সাতদিনের মধ্যে আমি পজিটিভ কাজ চাই।” এরপরই সিআইডির কাছে হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: রাজারহাটে বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব! একাধিক গাড়ি, বাস ও পথচারীকে ধাক্কা, উধাও চালক]
মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই স্কুলেরই ভুয়ো শিক্ষক ছেলে। সম্প্রতি এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। মূলত আদালত সব জেলার ডিআইদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত হলফনামা তলব করে। সেই রিপোর্ট থেকে এই তথ্য উঠে আসে। তদন্তে উঠে আসে ৭ জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। এমনই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায়।