গোবিন্দ রায়: রাজ্যে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়া (Bus Fare) নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। এনিয়ে রাজ্যের কী গাইডলাইন রয়েছে, তা জানতে চেয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ, ভাড়ার তালিকা অর্থাৎ রেট চার্ট সমস্ত বেসরকারি বাসে লাগানো রয়েছে কি না, তা রিপোর্টে স্পষ্ট করতে হবে রাজ্যকে। এছাড়াও সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়াই বেসরকারি বাসগুলি নিচ্ছে কি না, তাও জানাতে হবে। একইসঙ্গে, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ও রিপোর্টে স্পষ্ট করতে হবে। আদালত আরও জানতে চায়, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! বাইরে কাজে যাওয়ায় নেড়া করা হল বধূকে, লজ্জায় গ্রামছাড়া নির্যাতিতা]
কোভিডের (COVID-19) পর থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাসগুলির জন্য কোনও নির্দিষ্ট ভাড়া। যে কোনও রুটের বাসই ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। ফলে চাপ অনেকটাই বেড়েছে মধ্যবিত্ত নিত্যযাত্রীদের পকেটের উপর। তা নিয়ে যাত্রীদের একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে পরিবহণ দপ্তর এ বিষয়ে বেসরকারি বাস সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানের পথে হেঁটেছে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ভাড়াও।
[আরও পড়ুন: পুলিশের কলার চেপে ধরে বিতর্কে কংগ্রেস নেত্রী, ‘হাত ফসকে গিয়েছিল’ দিলেন সাফাই]
তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বাসভাড়া নেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাই কোর্টে (Calcutta HC) জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন ভাড়ার তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে ওই নিয়ম মেনেই ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইচ্ছামতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। উচ্চ আদালত এনিয়ে রাজ্যের পরিবহণ সচিবের কাছে হলফনামা চায়। তবে আদালতে রাজ্যের যুক্তি, বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি বুঝে কোনও বাসের রুট, সময়সূচি এবং ভাড়া সবটাই ঠিক করেন পরিবহণের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ (আরটিও)। পরিবহণ দপ্তর এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে না।