shono
Advertisement

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে কী করতে? কীসের এত প্রচার?’, ছাত্রের চিকিৎসা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের

জিরাটের স্কুল নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে করা মামলায় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
Posted: 05:46 PM Jul 26, 2022Updated: 05:46 PM Jul 26, 2022

গোবিন্দ রায়: হুগলির জিরাটের চরখয়রামারি অবৈতনিক স্কুলের মামলায় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাই কোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, “স্কুলের মাঠ-রাস্তা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে জানাননি কেন?” ওই স্কুলের অসুস্থ ছাত্রের চিকিৎসা প্রসঙ্গেও পঞ্চায়েত প্রধানের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

হুগলির স্কুলটির নাম জিরাট খয়রামারি স্কুল। মোট প্রায় পঞ্চাশ পড়ুয়া রয়েছে ওই স্কুলে। হুগলি নদীর ভাঙনের জেরে যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়টি। অভিভাবক ও স্থানীয়বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা এবিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। তারপরই ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলায় স্কুল অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গত শনিবার স্কুল পরিবদর্শনে যান আদালত নিযুক্ত দুই আইনজীবী। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন এক ছাত্র বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত। প্রধান শিক্ষক জানান, বহুদিন ধরেই অসুস্থ ওই ছাত্র। সহপাঠীরা আইনজীবীদের ওই ছাত্রকে স্পর্শ না করার পরামর্শ দেন। এতে ছাত্রটির মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে আদালত।

[আরও পড়ুন: ‘১ টাকার চিকিৎসক’ পদ্মশ্রী সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত, শোকজ্ঞাপন মোদি-মমতার]

জিরাট স্কুলের মামলায় মঙ্গলবার অসুস্থ ছাত্রের পরিবার সম্পর্কিত প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন চরখয়রামারি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সুচন্দ্রা রায়। এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ওই ছাত্রের মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পান কি না। পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তিনি জানেন না। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পালটা প্রশ্ন করেন, “আপনারা থাকেন কী করতে গ্রামে? শুধু ভোটের আগেই যান? তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে কী করতে? কিসের এত প্রচার? কিসের এত ঢক্কানিনাদ?” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনাদের মত ব্যক্তিদের জন্যই সমাজকল্যাণ মূলক প্রকল্প ব্যর্থ হয়।” তিনি পঞ্চায়েক প্রধানকে আরও প্রশ্ন করেন, “স্কুলের মাঠ-রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেলেও তা এটা জানাননি কেন?”

এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, জিরাট চর খয়রামারি স্কুলে অসুস্থ ওই ছাত্রের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। খরচের হিসাব পরবর্তী শুনানির দিন পেশ করতে হবে। স্কুলটি অন্যত্র যেখানে সরানো হচ্ছে আগামিকাল সকাল ৭ টায় সেটি পরিদর্শনে যাবে স্কুল পরিদর্শন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরা। আশেপাশের ঝোপ ঝাড় এবং জঙ্গল পরিস্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতকে। আগামী ২৩ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। পঞ্চায়েত প্রধানকে ফের হাজির থাকার নির্দেশ।

[আরও পড়ুন: ‘ব্রাহ্ম’ বিশ্বভারতীতে ‘কালী’ আলোচনা, পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সেমিনার অনলাইনেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement