shono
Advertisement

Panchayat Vote: সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পঞ্চায়েতে জয় দণ্ডি কাটা আদিবাসী মহিলার, চওড়া হাসি সুজাতার মুখেও

Posted: 10:37 PM Jul 11, 2023Updated: 10:37 PM Jul 11, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশ হতেই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে উড়ল সবুজ আবির। তবে কোনও কোনও জায়গায় লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বিরোধী শিবিরও। তবে এই ভোটে বিশেষ নজর ছিল বেশ কয়েকজন প্রার্থীর দিকে। তাঁদের ফল কী হল? সাফল্য পেলেন নাকি জনতার রায়ে ব্যাকফুটে তাঁরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

Advertisement

শিউলি মার্ডি: গত এপ্রিলে শিউলি মার্ডিকে নিয়ে সরগরম হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এই আদিবাসী মহিলা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দণ্ডি কেটে 'প্রায়শ্চিত্ত' করে ফের ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে হয়েছিল শিউলিকে। তাঁকে টিকিট দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে নিরাশ করেননি। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর পঞ্চায়েতের ৭১ নম্বর চক বলরাম আসন থেকে ১০৫ ভোটে ব্যবধানে জিতেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: একলাফে ৮০ শতাংশ বাড়ল আইপিএলের ‘মূল্য’, ব্র্যান্ড ভ্যালুর নিরিখে এগিয়ে কোন দল?]

দুধকুমার মণ্ডল: এবারের পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রতহীন বীরভূম। যদিও পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই। তবে কেষ্টর গড়ে জিতে চমক দিলেন বিজেপির দুধকুমার মণ্ডল (Dudhkumar Mondal)। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুধকুমারকে প্রার্থী করে বিজেপি। এই দুধকুমারকে নিয়ে এক সময় গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকেও সাসপেন্ড করে রাজ্য বিজেপি। এমনকী তিনি যে পঞ্চায়েতে লড়ছেন, সে খবরও ছিল না বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় অনেকের কাছেই। তবে জিতে চমক দিলেন তিনি।

সুজাতা মণ্ডল: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বামী সৌমিত্র খাঁকে কার্যত একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তারপরই ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনের মোড় ঘোরে। একুশের বিধানসভার আগে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। সেবার ঘাসফুল চিহ্নে লড়াই করে হেরে গেলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের বিপক্ষে কোনও প্রার্থী না থাকায় শুরুতেই জেলা পরিষদের ভোটগণনা হয়। আর তাতেই বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৪৪ নম্বর আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।

কাজল শেখ: অনুব্রতহীন বীরভূমে জেলা পরিষদের আসনে নজির গড়লেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল শেখ। জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসনে বিজেপিকে ৪০ হাজার ৪৩৬ ভোটে হারালেন তিনি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আবদুল করিম খান টিকিট না পাওয়ায় প্রার্থী হন কেষ্টবিরোধী গোষ্ঠীর নানুরের কাজল শেখ। তিনিই এদিন জয়ের হাসি হাসলেন।

[আরও পড়ুন: নিজের পুরনো অফিসে ঢুকে CEO ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে খুন করলেন যুবক! চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে]

সাবির খান: আমতার আনিশের খান মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তাঁর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল পুলিশকে। সেই বাম ছাত্রনেতার মামা সাবির খান সিপিএমের টিকিটে লড়ছিলেন হাঁসুখা থেকে। কিন্তু তৃণমূলের কাছে পরাস্ত হন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement