দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মুখে রোচেনি দেশি মুরগি। তবে সুন্দরবনের নোনা আবহাওয়ায় মিষ্টি জলের স্বাদ ভাল লেগেছে। তৃপ্তি করে খেয়েছে গ্লুকোজ মেশানো জলও। সন্দেশখালির মণিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ধরা পড়া বাঘিনী। শরীর, স্বাস্থ্য ভালই আছে তার, এমনটাই জানা গিয়েছে বনদপ্তর সূত্রে। আরও একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, বাঘ ধরা পড়েছে মণিপুর এলাকায়। পরে জানা যায়, আদতে পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীকে খাঁচায় বন্দি করা হয়েছে। ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা মনে করছেন, অন্তত আট থেকে ১০ বছর বয়স হবে বাঘিনীটির। সম্ভবত পথ হারিয়েই মণিপুরে চলে আসে। জলপথে সাঁতরেই লোকালয়ে চলে আসে বাঘিনীটি। কারণ এমনি পথ আসতে গেলে তাকে অন্তত তিনটি গ্রাম পার হতে হত। তখন কারও না কারও চোখে অবশ্যই পড়ে যেত।
[আরও পড়ুন: হস্টেলের বাইরে মামাকে দেখেই ছুট, ঘরে ঢুকে হাতের শিরা কাটল ছাত্রী!]
সুন্দরবন থেকে প্রায় ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে বাঘিনীটি ধরা পড়েছে। সাধারণত এতটা দূরে বাঘ বা বাঘিনী দেখা যায় না। পথ ভুলেই সেখানে হয়তো চলে আসে বাঘিনী। মনে হচ্ছে, আঢ়বেশে ১ জঙ্গল থেকে জলপথে আঢ়বেশে ২ জঙ্গলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু আচমকা জাহাজ চলে আসায় গতিপথ পালটে যায়। তখনই মণিপুরের দিকে চলে আসে।
রায়মঙ্গল নদীর পারের যে জায়গায় বাঘিনীটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে আচ্ছন্ন করা হয়। সেখানে অনেকটা কাদা ছিল। যা বাঘিনীর প্রায় সারা শরীরে লেগে যায়। সেই কারণেই ঝিলা ফরেস্টে এনে তাঁকে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করানো হয়। তারপর দেশি মুরগির মাংস খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু তা মুখে রোচেনি দক্ষিণরায়ের। একটু মুখে দিয়েই মুখ সরিয়ে নেয়। তবে গ্লুকোজ মেশানো দয় তৃপ্তি করে খেয়েছে সে। রাতভর গর্জনও শোনা গিয়েছে। সোম কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যেই পূর্ণবয়স্ক বাঘিনীকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই খবর।