সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকা ঠায় বসে থাকলেন অপেক্ষায়। অথচ নিজের বিয়েতে সময়মতো হাজির হলেন না ওড়িশার (Odisha) বিজেডি (BJD) বিধায়ক বিজয় শঙ্কর দাস (Bijay Shankar Das)। ফলে ভেস্তে গেল যাবতীয় বন্দোবস্ত। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত প্রেমিকা বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা।
ওড়িশার তিরতোলের বিজেডি বিধায়ক হলেন বিজয় শঙ্কর দাস। ওই মহিলা দাবি করেছেন, গত তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বিজয়ের। এর মধ্যেই গত ১৭ মে বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করেন বিধায়ক ও প্রেমিকা। পরদিন ১৮ মে রেজিস্ট্র করার কথা ছিল। সময় মতো রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির হয়েছিলেন প্রেমিকা। সঙ্গে ছিল মহিলার পরিবারের লোকেরাও। কিন্তু পাত্র বিধায়কই হাজির হননি সময়মতো। এর ফলেই ক্ষিপ্ত হন প্রেমিকা। তিনি বিধায়ক বিজয় শঙ্কর দাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন।
[আরও পড়ুন: শীতকালীন অধিবেশন হতে পারে নতুন সংসদ ভবনেই, ঘোষণা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার]
প্রেমিকা দাবি করেন, আসলে বিজয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পছন্দ ছিল না পরিবারের। বিধায়কের ভাই ও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিয়ে আটকাতে বারবার হুমকি দিচ্ছিলেন। অন্যদিকে এখন ফোন ধরছেন না স্বয়ং বিধায়কও। এই কারণেই রেজিস্ট্রি অফিসে বিধায়ক গরহাজির হওয়ার পরেই জগৎসিংপুর সদর থানায় প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামালা করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অশ্লীল আচরণ, মহিলার সম্মানহানী, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: নয়া আইনে বাড়তি চাপ গ্রাহকদের পকেটে! বিমার খরচ বাড়ল ২৪ শতাংশ]
নিজের সাফাইয়ে বিধায়ক জানান, বিয়ে করবেন না, এমন কথা তিনি বলেননি। তাঁর বক্তব্য, “রেজিস্ট্রির জন্য আরও ৬০ দিন সময় হাতে রয়েছে। সেই কারণেই সেদিন যাইনি। তাছাড়া ওইদিনই যে রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়া হচ্ছে তা আমাকে ওঁর পরিবারের কেউ জানাননি।” যদিও তাতে রাগ পড়ছে না প্রেমিকার। তিনি বলেছেন, “ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। আমার ফোন ধরছে না।”