সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে মূল ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। শনিবার রাতে তাকে ঝাড়খণ্ডের বোকারো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। ধৃত মূল ভাড়াটে খুনির নাম শেখ জাবির। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার পেংখনারায়ণপুর গ্রামের কাছো গ্রামে। রবিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ ঝালদা-বাঘমুণ্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে হাঁটতে বেরিয়ে খুন হন ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চার বন্ধু। এই ঘটনায় প্রথমে রাজ্য পুলিশের সিট চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারপরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেয়। তপন কান্দু (Tapan Kandu Murder Case) হত্যাকাণ্ডের কিনারায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের স্কেচ এক্সপার্টরা পেনসিল দিয়ে এঁকে ‘ক্রাইম ম্যাপ’ তৈরি করে। এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু দুই ভাড়াটে খুনি অধরা ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সকলে চোর বললে পিঠে তাল পড়বে’, ফের বিরোধীদের হুমকি সৌগতর]
সেই দু’জনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। এই ঘটনায় ধৃত বোকারোর কলেবর সিংয়ের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে শেখ জাবির নিজের সাদা রঙের মোটরবাইকে এক সঙ্গীকে নিয়ে এই অপারেশন করে বলে অভিযোগ। তারপর ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দেয়। সেখান থেকে একাধিক রাজ্যে ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি বোকারোয় আসে সে। এরপরই সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ে যায় মূল ভাড়াটে খুনি। এই ঘটনায় চার্জশিট জমা পড়ার পর চার্জগঠন হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জমা দেওয়া চার্জশিটেও উঠে আসে পারিবারিক খুনের তত্ত্ব। পুরুলিয়া জেলা আদালতে শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
এদিকে, ধৃত মূল ভাড়াটে খুনি শেখ জাবিরকে রবিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আরজি জানানো হবে। তবে আদালত কী রায় দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।