অর্ণব আইচ: ন’বছরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। তিনি যে সংস্থাগুলির মালিক, মাত্র কয়েক বছরে সেগুলির কোনওটির আয় বেড়েছে প্রায় ৮০ গুণ। আবার কোনওটির প্রায় দেড়শো গুণ। আবার এই রোজগারের ভিত্তিতে তিনি আয়করও দিয়েছেন। একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার কীভাবে আয় বৃদ্ধি হল, এবার তা নিয়ে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। একই সঙ্গে তাঁর সংস্থাগুলির বিপুল আয় বৃদ্ধি নিয়েও সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
গত ১০১৮-১৯ সালে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটির আয় ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৪৬ টাকা। এর পরের আর্থিক বর্ষে এই আয় বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ২৯৪ টাকা। পরের আর্থিক বর্ষ, অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে এক লাফে এই আয়ের পরিমাণ হয় ১ কোটি ৪৯ লাখ ১৪ হাজার ১০ টাকা। যদিও পরের বছর, ২০২১-২২ সালে সংস্থার আয় কমে হয় ৮৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩০ টাকা। কীভাবে দু’বছরে সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎবরণ গায়েনের আয় দু’বছরে সোয়া এক লক্ষ টাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে সিবিআই প্রশ্ন করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘দলে এখন দু’টো শ্রেণি-বাবু ও চাকর’, বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে ‘অভিমানী’ TMC বিধায়ক]
ওই বিপুল টাকার উৎস সম্পর্কে খতিয়ে দেখতেই নোটিস পাঠিয়ে সংস্থাটির সমস্ত নথি খতিয়ে দেখতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ওই সংস্থা ছাড়াও সুকন্যা মণ্ডলের অন্যান্য সংস্থাগুলির আয়ও মাত্র কয়েক বছরে বিপুল বৃদ্ধি হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিটে এর উল্লেখও রয়েছে। সুকন্যার অন্য সংস্থাগুলির আয়ের ব্যাপারেও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে ফের সক্রিয় সিবিআই (CBI)। গরুপাচার মামলায় একাধিক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরমধ্যে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলের মালিকানাধীন সংস্থাও রয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে সংস্থার সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ-সহ একাধিক চালকলের মালিককেও।