সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বিরতি (Ceasefire) ভারত-পাক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে প্রথম ধাপ হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে (MM Naravane)। তাঁর মতে, তিন মাসের এই সংঘর্ষ বিরতি শান্তি ফেরানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ। তবে, সেজন্য পাকিস্তান সেনাকে (Pakistan Army) আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই মনে করছেন এদেশের সেনাপ্রধান।
সেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সংঘর্ষ বিরতি চলছে ভারত-পাক সীমান্তে। একটা সময় সীমান্তের দুই প্রান্তের সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। সে তুলনায় অনেক শান্ত গত তিন মাস। সেনাপ্রধান নারাভানে মনে করছেন, এই সাময়িক শান্তির ফলে কাশ্মীরের অনেক লাভ হচ্ছে। গত তিন মাস অনেকটাই শান্ত উপত্যকা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন,”সংঘর্ষবিরতির মানে এই নয় যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ থেমে গিয়েছে বা পাক সেনা সে দেশের মাটিতে ভারত-বিরোধী শক্তিগুলিকে ধ্বংস করছে। তবু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে দু’দেশের যুদ্ধবিরতিতে সামগ্রিকভাবে কাশ্মীরের লাভ হয়েছে। বর্তমান সংঘর্ষবিরতি উপত্যকায় দীর্ঘদিন পরে শান্তির আবহ তৈরি করেছে।”
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য কী? সমীক্ষায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য]
যদিও পাকিস্তান আদৌ সংঘর্ষ বিরতি চাইছে কিনা তা নিয়ে এখনও সন্দিহান সেনাপ্রধান নারাভানে। কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলে এবং নিয়মিতভাবে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হলেই বোঝা যাবে যুদ্ধ বিরতির ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে পাকিস্তান। সেনাপ্রধান বলছেন,”এখনই আমাদের এটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) মাটিতে জামাত উল মুজাহিদিন (JeM), লস্কর (LeT) বা আল বদরের জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে গিয়েছে। এখনও সেখানে কাজ করছে ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল।” তবে আশার কথা হল, ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি সাক্ষর হওয়ার পর জম্মু এলাকায় অন্তত নতুন করে দুই দেশের সেনার মধ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষ হয়নি। জেনারেল নারাভানে মনে করছেন,”সীমান্তের শান্তি দুই শিবিরের জন্যই উপকারী। সীমান্তের দুই দিকে যে সব সাধারণ মানুষকে যুদ্ধের বিভীষিকা সহ্য করতে হয়। এই যুদ্ধবিরতি দুই শিবিরের জন্যই সুখবর এনেছে। আমি নিশ্চিত পাকিস্তান সেনাও সেটা বুঝবে।”