সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে একযোগে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা৷ সেনার দেওয়া ভিডিও ঘিরেও ছিল একাধিক প্রশ্ন৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দু’বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আম জনতার কাছে এখনও কোনও উপযুক্ত প্রমাণ তুলে দিতে পারেননি সেনা কর্তারা৷ এই নিয়ে কেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক মহলে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি ভারতকে৷ তবে, দেশে-বিদেশে যতই সমালোচনা চলুক, লোকসভা ভোটের আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে হাতিয়ার করে ফের মাঠে নামতে চলেছে কেন্দ্র৷ রীতিমতো হুইপ জারি করে, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস পালন করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)৷ ইতিমধ্যেই ইউজিসির তরফে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠি দিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে৷
[গণেশ পুজো দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নাবালিকা]
শিওরে নির্বাচন৷ তার আগে দ্বিতীয় বারের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস উদযাপন করে দেশের বাজার ‘দেশভক্তি’র জিগির তুলতে মরিয়া কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ আর সেই লক্ষ্যে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে৷ শুধুমাত্র যে কলেজে-কলেজে এদিনটি পালন করার নির্দেশ জারি হয়েছে, তা নয়৷ ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে৷ রয়েছে দিনভর কর্মসূচি৷ কুচকাওয়াজের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বক্তৃতা করবেন এনসিসি কমান্ডার৷
[প্রশ্বাসের সঙ্গে অক্সিজেন ছাড়ে গরু! আজব দাবি উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রীর]
২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের উরির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পাক জঙ্গিরা হামলা চালায়৷ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ উরি হামলার বদলা নিতে ২৯ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গিদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ধ্বংস করা ভারতীয় সেনা। মূলত, এই দিনকে স্মরণে রাখতেই আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷