সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রহ-নক্ষত্রের হেরফেরে নাকি বদলে যেতে পারে জীবন। গ্রহযোগই ডেকে আনতে পারে বিপর্যয়। আবার এই গ্রহই ঘুরিয়ে দিতে পারে জীবনের মোড়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, শুধু মানবজীবন নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের টিকিও নাকি এই গ্রহ-নক্ষত্র-রাশির ল্যাজে বাঁধা। সৌরমণ্ডলের তিন গ্রহের একসঙ্গে অবস্থানই ডেকে আনতে পারে বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ‘তাওকতে’ এবং ‘যশ’ বা ইয়াস (Cyclone Yaas)।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, বুধ, শুক্র এবং রাহুর যোগাযোগই ডেকে আনছে ঘূর্ণিঝড়, বিপর্যয়। এই তিন গ্রহের অবস্থানের প্রভাবেই গুজরাটে আছড়ে ছিল ঘূর্ণিঝড় তাওকতে। দাবি, একাধিক রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই গ্রহ যোগের ফলেই। আবার গত বছর আমফানের তাণ্ডবের সময় এমনই এক গ্রহ যোগ তৈরি হয়েছিল বলে খবর। সেই সময় রবি, চন্দ্র, বুধ ও শুক্র, বৃষ রাশিতে অবস্থান করছিল। এবার যশের আছড়ে পড়ার আগেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধ ও শুক্র রয়েছে বৃষরাশিতে। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাহু। ২৫ মে বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করেছে চন্দ্র। যা আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে বলে মত জ্যোতিষবিদদের। আর এই জোড়া ফলাই যশের শক্তি বাড়িয়েছে বলে দাবি তাঁদের। ফলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার সঙ্গে পড়শি ওড়িশার বিস্তির্ণ এলাকায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।
[আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’, দিঘায় ৩০ ফুটের উপর জলোচ্ছ্বাস]
জ্যোতিষবিদরা জানিয়েছেন, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও যখনই এই গ্রহগুলি একসঙ্গে হয়েছে, কোনও না কোনও বড় ঝড় বিরাট বিপর্যয় ডেকে এনেছে। উল্লেখ্য ২০১৯-এ মে-এর প্রথমদিকে ওডিশায় আছড়ে পড়ে ফণী। তখনও শুক্র, বুধ ও চন্দ্র একসঙ্গে অবস্থান করছিল। এমনকী, ২০০৪ সালের সুনামির সময়ও একসঙ্গে ছিল শুক্র ও বুধ। এই বছর আবার এক জায়গায় এসেছে শুক্র ও বুধ। তাই বাড়ছে আশঙ্কা। যদিও জ্যোতিষশাস্ত্রের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই।
আবহাওয়াবিদ ও বিজ্ঞানীরা অন্য এক আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রেখেছে আগেই। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছে জোয়ার। যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে সকাল ১০টা ৪৮ নাগাদ। এরপর থেকে জলের উচ্চতা ধীরে ধীরে নামতে থাকবে। সন্ধে ৬টার খানিক পরই ভাটার জেরে জলতল একেবারে নিচে নেমে যাবে। এরপর আবারও শুরু হবে জোয়ারের প্রভাব। যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছতে ঘড়ির কাঁটায় বাজবে রাত ১১টা ৪। অন্যদিকে বেলা ৩:১৫ মিনিট থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব। যা চলবে সন্ধে ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। এটিই চলতি বছরের প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’। এই সময় স্বাভাবিকভাবে জলোচ্ছ্বাস বেশি হবে। বাড়তে পারে ঝড়ের দাপট। আর এর জেরে বঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় যে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।