সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) রাজ্য সফরের প্রথম দিনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আয়কর দপ্তরের হানা (IT Raid) চলল। গরু পাচারে জড়িত থাকা সন্দেহে কলকাতাতেও তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এ নিয়ে পক্ষান্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন নবান্নের বৈঠক থেকে শ্লেষের সুরে অভিযোগ তুলেছেন। এদিন সকালে কলকাতার মানিকতলায় এক বহুতলে তল্লাশি চালানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। অন্যদিকে, অমিত শাহ যখন বাঁকুড়ায় সভা করছেন, সেসময় পাশের জেলা আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় CRPFকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিল আয়কর দপ্তর।
সূত্রের খবর, গরু পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মানিকতলার এক বহুতল আবাসনে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। রাজু পোদ্দার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। তিনি সাতটি সংস্থার ডিরেক্টর। এছাড়া কলকাতায় একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থাও রয়েছে। এদিন তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাশি চলে প্রাক্তন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতেও। আগেই গরু পাচারে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সতীশ কুমার।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার, বাংলায় কোভিডজয়ী সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি]
অন্যদিকে, আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এদিন সকাল থেকে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের আসানসোল, বার্ণপুর, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় একাধিক কয়লা কারবারির বাড়িতে হানা দেয়। জানা গিয়েছে, অভিযান চালানো হয় তাঁদের অফিসেও। এই কয়লা কারবারিরা পাশের জেলা পুরুলিয়ার এক বড় কয়লা ব্যবসায়ীর হয়ে কয়লা পরিবহণ বা ট্রান্সপোর্টের কাজ করতেন। সন্ধে পর্যন্ত আয়কর দপ্তরের এই অভিযান চলে।
[আরও পড়ুন: ‘জাতপাতের রাজনীতি করছেন অমিত শাহ’, আদিবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে খোঁচা বিরোধীদের]
এদিন রাজ্যজুড়ে আয়কর দপ্তরের অভিযান সম্পর্কে আসানসোলের অফিস থেকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, দিল্লির নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কলকাতা থেকে আসা আধিকারিকরা এখানকার আধিকারিক ও কর্মীদের সাহায্য নিয়ে এই অভিযান চালিয়েছে। কলকাতার মতো আসানসোল এলাকাতেও কারও বাড়ি বা অফিস থেকে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তাও জানা যায়নি। এদিক, এদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর মতে, রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে দুমদাম CRPFকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালানো আপত্তিজনক। আর অমিত শাহর সফরের সময় এই ঘটনা একেবারেই কাকতালীয় নয়।