সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মঙ্গলবার বিকল ছিল জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল এই ঘটনায়। বিভ্রাটের কারণ কী, সংস্থার তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো না হলেও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন মেটার এক মুখপাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই মুখপাত্রের দাবি, বড় ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি হয়েছিল। আর তা হয়েছিল তাদের তরফেই। সেই সমস্যার সমাধানও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও সেই ত্রুটি কী বা কেন হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য মিলেছে। এদিকে হোয়াটসঅ্যাপের এই বিভ্রাট নিয়ে বুধবার মেটার কাছে রিপোর্ট চাইল ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। হোয়াটসঅ্যাপকে ভারতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (CERT-In) কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি নোডাল সংস্থা।
[আরও পড়ুন: চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগেই টুইটার দপ্তরে এলন মাস্ক, বদলে ফেললেন বায়ো]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত বছর অক্টোবর মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও প্রায় ঘণ্টা ছ’য়েক সমস্যায় পড়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। যদিও তখন বিভ্রাটের কারণ দর্শিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছিল, ‘ডিএনএস’ সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছিল। অর্থাৎ ‘ডোমেইন’-এ কিছু সমস্যা হয়েছিল। আর তার জেরেই সাময়িকভাবে থমকে গিয়েছিল মেসেজ আদান-প্রদান।
কিন্তু এবার হোয়াটসঅ্যাপের ইতিহাসে দীর্ঘতম বিভ্রাট হলেও সরকারিভাবে মেটার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হল না। সাইবার বিশেষজ্ঞরা দাবি তুলেছেন, বিভ্রাটের কারণ জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক মেটা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপে সমস্যা দেখা দিলেও বাকি মেটার আওতায় থাকা বাকি অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও মেসেঞ্জার-এ কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। ইউরোপ-সহ পশ্চিমি দেশগুলিতে যদি এই বিভ্রাট হত, তাহলে তো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি দিতে হত। তাহলে ভারতের ঘটনা নিয়ে কেন মুখ খুলছে না মেটা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।