shono
Advertisement

Breaking News

১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের আগে রাজ্যগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

১ মে থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ।
Posted: 08:35 PM Apr 24, 2021Updated: 08:35 PM Apr 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ (Corona Pandemic)। দৈনন্দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে তিন লক্ষের গণ্ডি। এই পরিস্থিতিতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের প্রত্যেককেই এবার করোনার টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আগামী ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তার আগে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।

Advertisement

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে সম্প্রতি ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের টিকাকরণে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। যেহেতু এই পর্যায়ে টিকা নেবেন প্রচুর মানুষ, তাই কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কীভাবে সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, তা ঠিক করতেই এদিন বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এবং করোনা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির চেয়ারপার্সন ডঃ আরএস শর্মা। সেই বৈঠকের পরই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের।

[আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় ৬০% বেড বাধ্যতামূলক, বেসরকারি হাসপাতালের জন্য জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা]

তাতে বলা হয়েছে:

১. বেসরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি সংস্থা, বড় বড় সংস্থার সাহায্য নিয়ে যত বেশি সম্ভব করোনার টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। তাও আবার যত দ্রুত সম্ভব।

২. কো-উইন অ্যাপে প্রত্যেকটি হাসপাতালকে তাঁদের কাছে কত ভ্যাকসিন রয়েছে তাঁর পরিমাণ এবং সেগুলির দাম জানাতে হবে। রাজ্য প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।

৩. যাঁরা ভ্যাকসিনের যোগ্য, কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট সময় ধার্য করতে হবে।

৪. বাজার থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন রাজ্যগুলি কিনবে কি না, সে ব্যাপারেও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৫. কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমেই যে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিরা ভ্যাকসিন পাবেন, সেকথা জনসম্মখে প্রচার করতে হবে।

৬. টিকাকরণ কেন্দ্রের কর্মীদের সঠিকভাবে ট্রেনিং দিতে হবে।

৭. যেহেতু প্রচুর মানুষ এবার টিকা নেবেন, তাই স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে টিকাকরণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। যাতে টিকা নিতে যাওয়া মানুষজনকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়তে না হয়।

[আরও পড়ুন: অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে, বেনজির হুঁশিয়ারি দিল্লি হাই কোর্টের]

এর পাশাপাশি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিআরডিও, CSIR এবং রেল-সহ বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিয়ে আরও বেশি সংখ্যক অস্থায়ী কোভিড কেয়ার ইউনিট এবং কোভিড হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন, ওষুধ এবং টিকা রয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement