ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও অর্ণব দাস: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালীন তুমুল উত্তেজনা। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইকে থেকে হামলার অভিযোগ। ডিনের ঘরের কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এক পিজিটি আহত হয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ এই ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ। এসবের মাঝে থমকে যায় কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক। মনে করা হচ্ছে, আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরাই ছিলেন হামলার মূল টার্গেট।
হুমকির অভিযোগ, হস্টেল বণ্টন-সহ একাধিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৃহস্পতিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক বসে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। পিজিটি, অধ্যক্ষ, ডিন সকলে মিলেই চলছিল আলোচনা। সেখানে আর জি কর ইস্যুতে 'জাস্টিস'-এর স্লোগান ওঠে। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র চিকিৎসকরা 'থ্রেট কালচার' বা হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। এসব নিয়ে আলোচনার মাঝেই আচমকা হামলা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের অভিযোগ, প্রথমে ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে তাঁদের ভিতরে আটকে দেওয়া হয়। এর পর দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে হামলা চালায় একদল 'বহিরাগত'। দরজার কাচ ভেঙে ফেলা হয়। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলে। বিপদে পড়েন অধ্যক্ষ, ডিনও। তাঁরা অশান্তি থামাতে চাইলে একদল ছাত্র তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
[আরও পড়ুন: সিকিমের পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাস খাদে পড়ে মৃত ৪ জওয়ান]
জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, আর জি কর ইস্যুতে তাঁরা আন্দোলন করছেন বলেই এই হামলা। যাঁরা হামলা চালিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধেই 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি আক্রান্তদের। এই ঘটনার পর মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে আটকে পড়েছেন অনেকে। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে এখনও ঘরবন্দি বৈঠকে যোগ দেওয়া অনেকে। এদিকে, হামলায় অভিযুক্তদের একাংশের দাবি, তাঁরা কেউ বহিরাগত নন। উলটে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক 'বহিরাগত'রা হাজির। তার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা বৈঠকে ঢুকেছেন বলে দাবি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র অশান্তির পরিবেশ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে।