সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় খারাপ গেলে চিন্তা কম করবেন। কারণ রাতের পরই নতুন সকাল হয়। ঊষার আগমনে রবির কিরণ যাবতীয় অন্ধকার দূর করে। নতুন বছরে যেন এমনটাই হয়। বিশে বিষ ক্ষয় হয়ে শুভশক্তির জয় হয়। তাই নতুন বছরের প্রথম মাস থেকেই কবে কোন দেবতার উপাসনা করবেন? কোন ব্রত পালন করলে আপনার ও আপনার পরিবারের মঙ্গল হবে? তা জেনে রাখা আবশ্যক।
সংকষ্টী চতুর্থী– ১ জানুয়ারি প্রথম কল্পতরু উৎসবের পরদিন অর্থাৎ ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি সংকষ্টী চতুর্থী। এই দিনে ব্রতকারীরা উপবাস পালন করেন। রাত্রিতে চন্দ্র দর্শনের পর গণেশের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে উপবাস ভঙ্গ করা হয়।গণেশ বিঘ্ননাশকারী এবং বুদ্ধির সর্বোচ্চ ঈশ্বর। তাই ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিন উপবাস করলে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সফলা একাদশী- পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম সফলা। শোনা যায়, যুধিষ্ঠিরকে এই একাদশীর মাহাত্ম্য বুঝিয়েছিলেন স্বয়ং কৃষ্ণ। জানিয়েছিলেন, কীভাবে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফল লাভ করা যায় এবং জীবনের বাধা অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়া যায়। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি এই একাদশী পড়েছে।
[আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, ৯ মাস পর ভক্তদের জন্য খুলল পুরীর জগন্নাথ মন্দির]
প্রদোষ ব্রত- মহাদেব এবং পার্বতীর উদ্দেশ্যে এই ব্রত পালন করা হয়। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি নিয়ম মেনে তা পালন করতে পারলে শিবের কৃপা লাভ হবে। বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন। ঠিক তার পরেরদিনই জানুয়ারি মাসের শিবরাত্রি। আবার প্রদোষ ব্রতের তিথি পড়ছে ২৬ জানুয়ারি।
মকর সংক্রান্তি- বাঙালির পিঠে খাওয়ার এই আদর্শ দিনটি আগামী বছর ১৪ জানুয়ারি পড়ছে। ভারতের উত্তর এবং পশ্চিম প্রদেশগুলিতেও প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়। ওড়ানো হয় ঘুড়ি।
মাঘ বিহু- মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সক্রান্তির পরদিনই অসমের মাঘ বিহু। অহমিয়া জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই পরব। কৃষিক্ষেত্রে ফলনকে উদযাপন করা হয়।
গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মজয়ন্তী- শিখ সম্প্রদায় এই উৎসব ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পালন করবেন। প্রতিবার এই উপলক্ষ্যে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে ভিড় জমান অনেকে। দরিদ্রের সেবা করার রীতিও রয়েছে।
পুত্রদা একাদশী- ২৪ জানুয়ারি পড়েছে এই তিথি। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ব্রত পালন করলে বিষ্ণু দেব প্রসন্ন হন এবং সন্তানের মঙ্গল সাধন হয়।