shono
Advertisement

Breaking News

দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি মজবুত করছে লাল চিন

সবকিছু নজরে রাখছে আমেরিকা ও জাপানও৷
Posted: 06:31 PM Jul 23, 2018Updated: 07:01 PM Jul 23, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপর চাপ বাড়াতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সখ্যতা আরও মজবুত করল লাল চিন৷ শ্রীলঙ্কার উন্নয়নের জন্য ২৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্রদান করল বেজিং৷ এখানেই শেষ নয়, ইচ্ছা মতো সেই অর্থ খরচের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথরিপালা সিরিসেনাকে৷ এই মর্মে কার্যত সাংবাদিক সম্মেলন করে চিনা প্রশাসনের প্রতি তাঁদের আনুগত্য প্রকাশ করলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা৷ জানালেন, ভবিষ্যতেও একই ভাবে বজায় থালবে দু’দেশের বন্ধুত্ব৷ ঘোষণা করলেন, খুব শীঘ্রই চিনা সহায়তায় শ্রীলঙ্কায় নির্মিত হবে কিডনির চিকিৎসার অত্যাধুনিক হাসপাতাল৷

Advertisement

[এবার সূর্যকে ছোঁয়ার ইচ্ছে, আগামী মাসেই যাত্রাশুরু নাসার বিশেষ মহাকাশযানের]

সূত্রের খবর, আগে থেকেই চিনের অধীনস্থ বহু সড়ক নির্মাণ প্রকল্প চলছে শ্রীলঙ্কায়৷ এছাড়াও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রশাসনের আর্থিক সাহায্যে বর্তমানে দেশে বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে শ্রীলঙ্কার সরকার৷ এমত অবস্থায় বেজিংয়ের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ সাহায্য পেয়ে যথারীতি খুশী প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা৷ তিনি জানান, এই অর্থের কিছুটা দিয়ে সেদেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতের জন্য স্থায়ী একটি আবাসন নির্মাণ করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার৷ তবে চিনের প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টে এই উদার মনোভাব দেখে অনেকটাই অবাক কূটনৈতিক মহলের একাংশ৷ কারণ, ক্ষমতায় আসার পর চিনের সহায়তায় শ্রীলঙ্কায় চলমান অনেক প্রকল্পকেই বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা৷ এমনকী অভিযোগ তুলেছিলেন, টাকার বিনিময়ে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সেই প্রকল্পগুলি চিনকে বিক্রি করেছেন পূর্বতন প্রেসিডেন্ট মহেন্দ্র রাজাপক্ষ৷ এহেন সিরিসেনা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে কেন চিনের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে সচেষ্ট হলেন, এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক মহল৷

[২২ বছর ধরে গভীর অরণ্যই ঘর, আমাজনের ‘টারজান’কে ঘিরে রহস্য]

চিন-শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই বন্ধুত্ব বাড়ার বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি৷ জানা গিয়েছে, সমগ্র বিষয়টির উপরে নজর রাখছে আমেরিকা ও জাপানও৷ প্রসঙ্গত, ২০১৪ থেকেই শ্রীলঙ্কাকে টার্গেট করেছে চিন৷ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়, সেই বছরই ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কা উপকূলে একটি চিনা সাবমেরিন প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে৷ যা শ্রীলঙ্কা ও চিনের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হলেও, ঘটনাটির প্রমাণ ছিল ভারতের হাতে৷ কেবল তাই নয়, ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে এও খবর রয়েছে যে, শ্রীলঙ্কার সামুদ্রিক উপকূলে নৌসেনার ঘাঁটি নির্মাণ করে ভারত মহাসাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে লাল চিন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement