সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিসে চিনের প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিংয়ের এই ফ্রান্স সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেবল ফ্রান্স নয়, এর পর সার্বিয়া ও হাঙ্গেরিতেও যাবে তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিকে এখনও চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরকম এক সময়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার জিনপিংয়ের এই মহাদেশে পা রাখা নিছক সৌজন্য সফর যে নয় তা নিশ্চিত। কী উদ্দেশ্য জিনপিংয়ের?
সোমবার প্যারিসে পৌঁছেছেন জিনপিং। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উর্সুলা ভন ডার লিয়েন ও এক স্টেট ব্যাঙ্কোয়েটের সঙ্গেও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এর পরই বুধবার সার্বিয়া ও বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরি যাবেন জিনপিং।
[আরও পড়ুন: টাইটানের শেয়ারে বিরাট ধসের জের একদিনে ৮০০ কোটি খোয়ালেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী]
আপাত ভাবে চিনের প্রেসিডেন্টের ফ্রান্স সফরের উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০ বছর পূর্তি। ১৯৬৪ সালের ২৭ জানুয়ারি ফ্রান্সই ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে চিনকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল। এদিকে এবছরই সার্বিয়ায় চিনা দূতাবাসে মার্কিন বোমাবর্ষণের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ফলে আপাত ভাবে জিনপিংয়ের এই দেশগুলিতে সফর করার পিছনে প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক তাৎপর্য নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আসলে এই সফরের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। কী কারণ? বলা হচ্ছে, কূটনৈতিক সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্য তো রয়েছেই। পাশাপাশি চিন প্রশাসন যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে বিশ্ববাজারে চিনা মালকে সস্তা রাখে এবং এর যে প্রভাব পড়ছে তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় (Europe) দেশগুলি সরব। এই ভর্তুকি বিরোধী তদন্তের বিরুদ্ধে লবি করাটাও লক্ষ্য জিনপিং-এর।
পাশাপাশি সার্বিয়া সফরে চিনের মার্কিন বিরোধী এবং ন্যাটো বিরোধী এজেন্ডাকে আরও বেশি করে তুলে ধরে কেন তারা রাশিয়ার সমর্থন করছে তা জানাতে চান জিনপিং। মনে রাখতে হবে, সার্বিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ চিন (China)। সেই সম্পর্ককে যে কোনও উপায়ে মজবুত রাখাই লক্ষ্য বেজিংয়ের। পাশাপাশি হাঙ্গেরিতে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতেই সেদেশে যাচ্ছেন জিনপিং (Xi Jinping)।