সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বর মানেই উৎসবে রং। ক্রিসমাস থেকে শুরু করে বর্ষবরণের পার্টি। তেইশ শেষ করে চব্বিশে পা। ইতিমধ্যেই শহরে ঠান্ডার ব্যাটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে উৎসবের আমেজও হয়েছে দ্বিগুণ। এমন মরশুমে কি আর হাত গুটিয়ে, জিভ শুকিয়ে বসে থাকা চলে? না, একেবারেই না। বছর শেষের কয়েকটা দিন ডায়েট ভুলে শুধুই হুল্লোড়ের পালা। প্রিয় সঙ্গী, কিংবা বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবার, মেতে উঠুন উৎসবে। গ্লাসে গ্লাস ঠেকিয়ে উল্লাসে চলুক রাতভর সেলিব্রেশন।
সে তো না হয় হল। কিন্তু পরদিন যে আবার কাজে ফিরতে হবে! সে খেয়ালও তো রাখতে হবে! পারবেন, আগের দিন গলা পর্যন্ত উৎসবে ডুবে থেকে পরদিন হ্যাংওভার কাটিয়ে সাতসকালে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে? আলবাত পারবেন। এই সহজ পাঁচ উপায়ে।
[আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ্বোধনের দিনকে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তুলনা, বিতর্কে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ]
জল: সকালবেলা উঠে যখন মনে হবে আগের দিন অতটা পান না করলেও পারতেন, তখন আপনার মাথাব্যথার একমাত্র ওষুধ জল। আজ্ঞে হ্যাঁ, বিশুদ্ধ পানীয় জলেই শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে রাতের যাবতীয় টক্সিন। কিংবা ইচ্ছা করলে সেই জলেই একটু লেবু চিপে পান করে ফেলুন।
কলা: এই ফলের গুণগান বারবার গেয়েও শেষ হওয়ার নয়। রাতের উল্লাশের পর সকালে উঠতে গিয়ে চট করে অনেকের মাথাই ঘুরে যায়। চটজলদি একটা-দু’টো কলা খেয়ে নিন। পেট শান্ত থাকলে, হ্যাংওভারও বিদায় নেবে।
মধু: মধুর রাত কাটানোর পর সকালে মধুই আপনার কাছে অমৃত হতে পারে। অনেকেই জানেন না পটাশিয়াম ছাড়াও মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই হ্যাংওভার কাটাতে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার বদলে এই প্রাকৃতিক ওষুধ টোস্ট কিংবা বিস্কুটের উপর লাগিয়ে খেয়ে ফেলুন।
তাজা ফলের রস: অ্যালকোহল মানুষের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। ফলে সকালে উঠলে অনেকেরই দূর্বল লাগে। এই সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় তাজা ফলের রস। এমন ফল বেছে নিন যাতে গ্লুকোজ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাস্তায় রেখে দেওয়া পদ্মশ্রী ফেরত চাইছেন বজরং! কিন্তু কেন? কী এমন ঘটল?]
গরম স্যুপ: খুব বেশি হ্যাংওভার কাটাতে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। ধোঁয়া ওঠা গরম স্যুপের স্বাদ ও গন্ধে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে আপনার শরীর।