দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এক-দু’দিন নয়, এক-দু’মাসও নয়। টানা তিন বছর ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে গৃহবধূর দেহ! সিআইডির জেরায় স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ লুকিয়ে রাখার কথা অবশেষে স্বীকার করলেন স্বামী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন টুম্পা মণ্ডল। টুম্পার বাবা কুলতলির বাসিন্দা লক্ষ্মণ হালদার মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট লেখান থানায়। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে সোনারপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারও করা হয় টুম্পার স্বামী ভোম্বল মণ্ডলকে। কিন্তু গ্রেপ্তারির পরও টুম্পার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে অপহরণ কিংবা খুনের কোনও প্রমাণ না মেলায় পরে আদালতে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েনে কলেজছাত্রী ও জেঠিমাকে ‘খুন’, পুকুরে দেহ ফেলে ফেরার প্রাক্তন প্রেমিক!]
সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দীর্ঘ জেরার পর ভোম্বল জানান, সোনারপুরের মিলনপল্লিতে ভাড়ার বাড়িতে থাকার সময় ২০২০ সালে স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ফেলেন। বাড়িওয়ালা তাপস মণ্ডল জানান, লকডাউনের সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ভোম্বল মণ্ডল। কিছুদিন থাকার পর তাঁরা চলে যান। তার কয়েকদিন পর ভোম্বলের এক আত্মীয় এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে সব জিনিসপত্র নিয়ে যান।
তিন বছর মুখ বন্ধ রাখার পর অবেশেষে সিআইডির কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন ভোম্বল। ধৃতের বয়ান অনুযায়ী সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্বার করেন তদন্তকারীরা। সিআইডির কাছে স্বীকারোক্তির পর অভিযুক্তর জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।