সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬৯ তম জাতীয় পুরস্কারে সেরা বাংলা ছবির সম্মান পেয়েছে শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পালের ছবি 'কালকক্ষ'। তার পর থেকেই এই পরিচালক জুটিকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। 'কালকক্ষ' ছবির সেই সাফল্যকে সঙ্গে নিয়েই এবার শর্মিষ্ঠা ও রাজদীপ নিয়ে আসছেন, তাঁদের নতুন ছবি 'মনপতঙ্গ'। ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রযোজিত ও অঞ্জন বসু নিবেদিত এই ছবি।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবির সম্মান পাওয়ার পর একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছে রাজদীপ-শর্মিষ্ঠার এই ছবি ।
অরোরা ফিল্ম করপোরেশনের কর্ণধার ও ছবির প্রযোজক অঞ্জন বসুর কথায়, “ওদের প্রথম ফিচার কালকক্ষ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে প্রযোজক হিসেবে মন পতঙ্গ নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী । আমরা ছবির ট্যাগ লাইন হিসেবে একটা বিশেষ পঙক্তি ব্যবহার করছি- পথের সিনেমা, পথ ভাঙার সিনেমা। ঠিক যে সময় দাঁড়িয়ে বাংলা ছবি মানেই একটা কাঙ্খিত ও তথাকথিত রুচিশীল, শহুরে শ্রেণীকে বিনোদন প্রদানের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই সময় মন পতঙ্গ আমাদের আশেপাশে থাকা পথে পথে ঘর বাঁধা মানুষের গল্প দিয়ে বাংলা ছবির এই সুবিধাবাদী, একপেশে পথটা ভাঙতে পারবে বলেই আশা রাখি । ছবির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী ভীষণ ভাবেই । খুব শিগগির ছবির ট্রেলর নিয়ে আসছি আমরা ।”
পরিচালক জুটির কথায়, ' কলকাতার হৃদস্পন্দনে অনুরণিত যে আকাশ ছোঁয়ার বাসনা, যা একজন ফুটপাথবাসী থেকে একজন কোটিপতি সকলকে অস্থির করে রাখে, অনৈতিক করে তোলে কখনো, কখনো সুবিধাভোগী, কখনো বা হিংস্র করে তোলে,সেই জ্বলন্ত কামনার প্রতিচ্ছবি আমাদের এই ছবি।সামনেই ছবি বড়পর্দায় দেখতে পাবে মানুষ, সেটা নিয়ে একটা একসাইটমেন্ট তো আছেই।”
'মনপতঙ্গ' ছবির গল্পে দেখা যাবে, ''একে অপরকে ভালোবেসে মৃত্যুর ভয়ে একটি মুসলিম ছেলে এবং একটি হিন্দু মেয়ে গ্রাম থেকে শহরে পালিয়ে আসে। হাজার হাজার পরিযায়ী মানুষদের মতোই তাদের ও ফুটপাতের জীবন শুরু হয়। এই ফুটপাতের ধারেই এক বিলাসবহুল আসবাবের দোকানে একটি সিংহাসনের মতো চেয়ার দেখে তারা চায় সেটাতে রাজা রানীর মতো একবার বসতে। কিন্তু ওদের সামাজিক পরিচয় ওদের সেই স্বপ্ন সত্যি হতে দেয় না। নিজেদের অবস্থান ওই স্বপ্নের যোগ্য করে তুলতে শুরু হয় তাদের নতুন অভিযান। নানান রকম সুবিধাভোগী মানুষ, দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার ভয়, প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা আর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াতে থাকা ভুয়ো খবরে বেশ টালমাটাল এক সময়ের মধ্যে নিজেদের নতুন করে খুঁজে পেতে চায় ওরা। কিন্তু কী হয় শেষ পর্যন্ত? ছবিতে অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস, জয় সেনগুপ্ত, নবাগত শুভংকর মোহান্তা ও বৈশাখী রায়, অমিত সাহা, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস, জনার্দন ঘোষ, ত্রীবিক্রম ঘোষ, অনিন্দিতা ঘোষ, অনিন্দ্য রায় প্রমুখ।। অনেক সত্যিকারের পথবাসী মানুষ, পথশিশুরাও এ ছবির অন্যতম অংশ।