সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক আর দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ যেন একে-অপরের 'সমার্থক' হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাঞ্জাবি পপস্টার যেখানেই শো করতে গিয়েছেন, সেখানেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কখনও গানের শব্দের জন্য আবার কখনও বা গানের মাধ্যমে মদ-মাদকের প্রচারের জন্য। ব্যতিক্রম শুধু কলকাতা। এবার চণ্ডীগড়ে কনসার্ট করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের অভিযোগ উঠল দিলজিতের বিরুদ্ধে। যার জেরে গায়ককে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে এবার।
বলিউড সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে দিলজিতের কনসার্ট হওয়ার সময়ে শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে ৭৫ ডেসিবলের বেশি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ৭৬.১ থেকে ৯৩.১ পর্যন্ত শব্দদূষণ ঘটানো আইনত অপরাধ। জানা গিয়েছে, যার জেরে ইতিমধ্যেই দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের কনসার্টের আয়োজকদের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আর সেই আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা গুনতে হবে পাঞ্চাবি পপস্টারকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে 'দিল-লুমিনাটি'র পয়লা শো থেকেই বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে দিলজিতের। যার জেরে তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে আইনি নোটিসও পেয়েছিলেন গায়ক। তবে দমে যাননি তিনি। তার পরও লখনউ, পুনে, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর, ইন্দোর, চণ্ডীগড় মাতিয়েছেন সুরেলা কণ্ঠে।
এককথায় দিলজিতের ‘দিল-লুমিনাটি’ শো ঘিরে ঠিক যতটা উন্মাদনা ছিল, ততটাই বিতর্কের শিরোনামে থেকেছে! ‘লেমোনেড’ এবং ‘পাঁচ তারা’ এই দুটি গান নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। আবার মঞ্চে দাঁড়িয়েও প্রশাসনের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে জোর গলায় বলেছেন, "আমাদের দেশের সব রাজ্যগুলোতে যদি মদ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করা হয়, তারপরের দিন থেকেই দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ জীবনে কোনওদিন আর 'শরাব পি' গানটা গাইবে না। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। এরপরই দিলজিতের প্রশ্ন, এটা কি সম্ভব হবে? এই ব্যবসায় আসলে অনেক লাভ। করোনাতে যখন গোটা দেশ বন্ধ ছিল, তখনও কিন্তু মদের ঠেক খোলা থেকেছে। আর আজকে এত বড় বড় কথা গান নিয়ে। যুবপ্রজন্মকে অত বোকা ভাববেন না। কোথায় আমি তো কত ভক্তিগীতি গেয়েছিস সেগুলো নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। আমার শো যেখানে যেখানে থাকবে, সেখানে একদিনের জন্য মদ নিষিদ্ধ করে দিন। আমি মদ নিয়ে গান গাইব না।" সম্প্রতি আবার এদেশের পরিকাঠামোর অভাবে আর কনসার্ট না করার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি সদর্পে। তবে এবার 'পাঞ্জাব দি পুত্তর' স্বভূমি চণ্ডীগড়েই বিপাকে পড়লেন।