সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম হয়েও ছিলেন শিবভক্ত। ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক অন্বেষণে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ধর্মের দেওয়াল। রামকৃষ্ণপ্রেমী ইরফান খান পড়তেন উপনিষদও। পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতায় যখন দেশে নাম-পদবীর জেরে রোষানলে পড়তে হচ্ছে মুসলিমদের, তখন এমন 'অসম্প্রীতি'র আবহেই ভাইরাল 'সচ্চা দেশভক্ত' ইরফানের এক অতীত সাক্ষাৎকার ভাইরাল। যেখানে পাকিস্তানি সাংবাদিককে কথার মারপ্যাঁচে প্রায় তুলোধনা করেন অভিনেতা।
ভাইরাল ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে, এক সাংবাদিক বৈঠকে পাক সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইরফান খান। প্রতিবেশী দেশেও অভিনেতার ভক্তসংখ্যা ছিল চোখধাঁধানো। সেপ্রসঙ্গ উল্লেখ করেই জনৈক সাংবাদিক ইরফানকে জিজ্ঞেস করেন, "ইরফান ভাই, আপনার তো পাকিস্তানেও একটা বিশাল সংখ্যক ভক্তমহল রয়েছে। আশা রাখি আপনি কোনও না কোনও দিন আমাদের দেশে যাবেন। আমাদের খুব ভালো লাগবে।" তার জবাবেই ইরফান এদিক-ওদিক না তাকিয়ে একেবারে মুখের উপর বলে দেন, "আমি চলে তো যাব, কিন্তু পাকিস্তানে গেলে বেঁচে ফিরব তো?" অভিনেতার এমন উত্তরে ওই সাংবাদিক বৈঠকে হাসির রোল ওঠে। বর্তমানে ভারত-পাক সংঘাতের আবহে আবারও সেই ভিডিও ভাইরাল নেটপাড়ায়। প্রয়াত অভিনেতার এহেন ব্যাঙ্গাত্মক অথচ হাস্যরস সিক্ত উত্তরে উল্লাসে মেতেছেন অনুরাগীরা।
কেউ বলছেন, 'বর্তমানে হয়তো আমাদের কাছে আকাশতীর, এস-৪০০ আছে, কিন্তু তখন আমাদের একজন ইরফান খান ছিলেন।' আবার কারও মন্তব্য, 'প্রকৃতঅর্থে একজন গুনী মানুষ এবং দেশভক্ত।' আবার কারও মত, 'ইরফানের মতো আজ পর্যন্ত কেউ পাকিস্তানিদের ট্রোল করতে পারেনি।' কেউ বললেন, 'এই মানুষটির এরকম ব্যক্তিত্বের জন্য আজও মিস করি।' পহেলগাঁওয়ে 'ধর্মের ধ্বজা' উড়িয়ে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসলীলার জেরে সাম্প্রদায়িক বিভাজন নীতিতে বর্তমানে সরগরম নেটপাড়া! সেই আবহেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল ইরফান খানের মন্তব্য।
