সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের খান-কাপুর সাম্রাজ্য হোক বা প্রথম সারির তারকারা, প্রায়শই তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলে ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশে প্রশংসামূলক পোস্ট দেখা যায়। একাংশ আবার ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য মোদি সরকারের সমালোচনায় বরাবর সরব। তবে এহেন তারকাদের সংখ্যা আবার হাতে গোনা! 'মৌনব্রত' পালনের জন্য অবশ্য বলিউড তারকাদের কম সমালোচিত হতে হয়নি! চলতি ভারত-পাক সংঘাতের আবহে টানা একুশ দিন 'নীরব' থাকায় সমালোচিত হতে হয়েছে খোদ অমিতাভ বচ্চনকেও। সরকারের যে কোনও পদক্ষেপ নিয়ে যখন আমজনতা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে সোশাল মিডিয়া সরগরম রাখে, তখন বলিউড সেলেবরা কেন চুপ করে থাকেন? এমন কৌতূহল দীর্ঘদিনের। এবার সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন জাভেদ আখতার, যা নিয়ে দ্বিখণ্ডিত নেটভুবন!
জাভেদ বরাবর স্পষ্টভাষী। কংগ্রেস কিংবা বিজেপি, কোনও সরকারের আমলেই যে কোনও ইস্যুতে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পিছপা হননি তিনি। সম্প্রতি কপিল সিব্বালের সঙ্গে এক কথোপকথনে প্রবীণ গীতিকার বলিউডের একাংশের সমালোচনা বলেন, "মেরিল স্ট্রিপ যখন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তখন কিন্তু তার বিরুদ্ধে ইডি অভিযান চালানো হয়নি। এই নিরাপত্তাহীনতা বাস্তব হোক বা না হোক, আমি সেই বিতর্কে যেতে চাই না। এই ভয়ের অনুভূতিটা কিন্তু অবাস্তব নয়। কারও মনে যদি এমন ভয় থাকে, তাহলে যে তাঁরা ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের রেইড পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। ওঁদের হয়তো ধারণা যে ওঁদের ফাইল খোলা হবে এবং তদন্ত করা হবে। এর ফলে অনেকেরই অনেক কিছু হয়তো প্রকাশ্যে চলে আসবে।"
সিব্বালের সঙ্গে সেই কথোপকথনেই জাভেদ আখতারের সংযোজন, "ওঁরা সিনেদুনিয়ায় কাজ করছে ঠিকই। কিন্তু ওঁরা তো এই সমাজেরই অংশ। আর পাঁচজনের মতো রোজ ওঁদেরও কাজ করতে যেতে হয়। এই পেশায় শুধু চাকচিক্য আর জাঁকজমকটা বেশি। আর একই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যেকের ভিন্ন মত থাকাটাও স্বাভাবিক। আমিই হয়তো ব্যতিক্রম যে সব ইস্যুতে সরব হই, তবে বুঝি অন্যেরা কেন আওয়াজ তুলতে পারে না।" তবে প্রবীণ গীতিকারের নিশানায় কোন বলিউড তারকারা? সেই বিষয়ে খোলসা করেননি তিনি।
