সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ আর রহমানের ত্রিশ বছরের দাম্পত্য ভাঙার নেপথ্যে কি কলকাতাকন্যা? মিউজিক মায়েস্ত্রোর বিচ্ছেদের পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে বঙ্গললনা মোহিনী দে। কেন? তার কারণ, রহমানের গিটারবাদক এই কন্যাও অস্কারজয়ী শিল্পীর ডিভোর্স ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের বিয়ে ভাঙার কথা ফলাও করে সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন। এর পরই দুয়ে দুয়ে চার করে রহমান ও মোহিনীর পরকীয়ার গুঞ্জন শুরু হয়। তবে নিন্দুক, সমালোচকদের নানা মন্তব্যে কান না দিয়ে মোহিনী ব্যস্ত বিদেশে।
বঙ্গকন্যার সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিয়েই দেখা গেল, ডিভোর্স ঘোষণার পর কাজে বিরতি নেননি মোহিনী। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত ফ্রান্সে। আর সেখানে শোয়ের মঞ্চ থেকেই গিটারে ঝড় তোলার মুহূর্ত শেয়ার করলেন বাঙালি গিটার বাদক। মোহিনী দে আদতে কলকাতার মেয়ে। বয়স মাত্র ২৯। জনপ্রিয় বেসিস্ট হিসেবে কলকাতায় বহুদিন আগে থেকেই পরিচিত। তাঁর নিজেরও একটি ব্যান্ড রয়েছে, তবে রহমানের সঙ্গেও তিনি পারফর্ম করেন। রহমানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ টি শোতে পারফর্ম করেছেন মোহিনী। গান বাংলা এস উইন্ড অব চেঞ্জের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অস্কারজয়ী শিল্পীর সঙ্গে কাজের পাশাপাশি নিজের দেশ-বিদেশে নিজের ব্যান্ডের শো নিয়েও ব্যস্ত থাকেন তিনি।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের একটি অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন মোহিনী দে। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি। মোহিনী তাঁর ডিভোর্স ঘোষণা করে লিখেছিলেন, 'খুব কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব। এবং মার্কের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব।' মোহিনী এই পোস্টে আরও লেখেন, ''আমরা দুজনে মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে আপনারা সম্মান জানান, এটাই চাইবো সবার কাছে।' ব্যস, বঙ্গকন্যার এহেন পোস্টের পরই সঙ্গীতদুনিয়ার অন্দরে শোরগোল। প্রশ্ন উঠেছে, বাঙালি গিটারবাদকের সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই কি দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানলেন এ আর রহমান?
অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বিয়ের এত বছর পর আচমকাই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করে অনুরাগীদের চমকে দেন তিনি। ডিভোর্স ঘোষণা করে রহমান লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছে যাব, এই আশাই করেছিলাম। কিন্তু নিয়তির যে অন্য ভাবনা ছিল, তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি। ভাঙা মনের ভারে ঈশ্বরের আসনও তো টলে যায়। তবুও এই ছিন্নভিন্ন সম্পর্কে আমরা মানে খুঁজতে থাকি। যদিও এই ভাঙা টুকরোগুলো আবার আগের মতো জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। জীবনের এই ভঙ্গুর অধ্যায়ে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য এবং মহানুভবতার জন্য বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই।’