সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সইফ আলি খানের হামলাকারী কি এখনও মুম্বইয়ে? নাকি ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোরেই মুম্বই ছেড়ে পালিয়েছে? বান্দ্রা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ঘনাচ্ছে রহস্য।
সইফের উপর হামলার (Saif Ali Khan Attacked) কয়েক ঘণ্টা পর বান্দ্রা স্টেশনে দেখা যায় সইফের হামলাকারীকে। পুলিশ মনে করছে, অভিনেতার উপর হামলা চালানোর পর বান্দ্রা স্টেশন থেকে প্রথম লোকাল ট্রেন ধরে ভাসাই বা নালাসোপারার দিকে পালিয়েছে ওই হামলাকারী। সেখান থেকে সে মুম্বই বা মহারাষ্ট্রের বাইরে অন্য কোথাও পালিয়েছে কিনা সেটা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় মুম্বই পুলিশ। সূত্রের দাবি, ওই অভিযুক্তকে সনাক্ত করার পরই তাঁকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ। মোট ৩৫টি দল গঠন করে মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত খানা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ওই দুষ্কৃতীর পরিচয় জানা না গেলেও তার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সইফের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে তাকে। সইফের জখম পরিচারিকার দাবি, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ অভিনেতার ছোট ছেলে জে-র ঘরে ছিলেন। সেই সময় শৌচালয়ের কাছে কারও ছায়া দেখতে পান তিনি। ভাবেন হয়তো সইফ ঘরনি করিনা তাঁর সন্তানের ঘরে আসছে। তবে কয়েক মিনিট পর তিনি বুঝতে পারেন কেউ ঘরে ঢুকছে না। অথচ শৌচালয়ের আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘর থেকে তখন বেরন পরিচারিকা। ওই দুষ্কৃতী সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই চিৎকার করে ওঠেন পরিচারিকা। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় পরিচারিকাকে। চিৎকার করতে বারণ করে। এরপরই পরিচারিকার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা দাবি করে দুষ্কৃতী। পরিচারিকা বিপুল টাকা দিতে অস্বীকার করে। তা নিয়ে দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কথা কাটাকাটির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সইফের। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরপর টার্গেট বদলায় দুষ্কৃতী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিনেতার উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে সইফকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। মোট ৬টি জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয় অভিনেতার। বাধা দিতে গিয়ে জখম হন অভিনেতার পরিচারিকাও। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছাড়ে দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, সইফের বান্দ্রার বাড়ির আপৎকালীন সিঁড়ি দিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ে সে। সিসিটিভি ফুটেজও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তার পর তাঁকে দেখা গিয়েছে বান্দ্রা স্টেশনে।