সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বলিউডের প্রিয় 'ভাইজান'। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর যেমন দাপট রয়েছে, তেমনই বহু শিল্পী, কলাকুশলীদের কাছে তিনি 'দিলদরিয়া' সলমন খান। যখনই কেউ কোনও বিপদে পড়েছেন, পাশে পেয়েছেন ভাইজানকে। কোভিড পর্বেও ইন্ডাস্ট্রির দুঃস্থ কলাকুশলীদের নিত্যদিন বিনামূল্যে রেশন বিলিয়েছেন। সলমনকে সিঁড়ি করে বহু তারকাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আসা নিয়েও এককালে কম চর্চা হয়নি। সেই 'দান' কি এত সহজে ভোলা যায়? এবার বলিউড সুপারস্টারের বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ালেন তাঁরাই।
মুহুর্মুহু বিষ্ণোই গ্যাংস্টারের খুনের হুমকির মাঝেই রবিবার কাকভোরে গ্যালাক্সিতে গোলাগুলির ঘটনার পরই সলমনের হয়ে আওয়াজ তুলল সিনে সংগঠন অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ারকার্স অ্যাসোসিয়েশন, সংক্ষেপে AICWA। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠিয়ে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে সিনেদুনিয়ার এই বিশিষ্ট সংগঠন। মোদির কাছে তাঁদের আর্জি, "ভাইজানের নিরাপত্তা বাড়ানো হোক এবং ওই দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে খতম করুন।"
মোদিকে পাঠানো চিঠিতে AICWA-এর তরফে লেখা হয়েছে, "সলমন খান শুধু বলিউডে নন, গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় মুখ। মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকা বান্দ্রায় যদি এরকম খোলাখুলি গুলি চলে, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা যথেষ্ট উদ্বেগের। যেখানে সলমন নিজেই নিরাপদ নন। ভোটের আবহে গ্যাংস্টারা বুক ফুলিয়ে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে আমাদের অনুরোধ সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানো হোক এবং যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা হোক। এহেন ঘটনা গোটা বলিউডে ভয়ের আবহ তৈরি করেছে। আর সেই ভয়কে কাজে লাগিয়ে কুখ্যাত গ্যাংস্টাররা বলিউড তারকাদের থেকে মোটা টাকাও চাইতে পারে। সলমনকে যেহেতু বলিউডের 'গডফাদার' বলা হয়, তাই টার্গেটটা তাঁকেই প্রথম করা হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: মুহুর্মুহু খুনের হুমকি! গ্যালাক্সিতে গুলি চলতেই বান্দ্রার বাংলো বদলাচ্ছেন সলমন?]
সেই চিঠিতেই সংযোজন, "অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ারকার্স অ্যাসোসিয়েশন সলমন খান এবং তাঁর গোটা পরিবারের পাশে রয়েছে। কারণ ওঁরাও আমাদের বলিউড পরিবারেরই একজন। সলমনকে টার্গেট করে যে গ্যাংস্টাররা নাম কামাতে চাইছে, তারা যাতে ভবিষ্যতে এহেন কাজ আর না করতে পারে, সেই আর্জিই জানাচ্ছি আপনাদের কাছে।" রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ সলমন খানের (Salman Khan) বান্দ্রার বাংলোর সামনে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার পরই যদিও সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, তবুও মুম্বই পুলিশ প্রশাসনের ফাঁকফোকড় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।