সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন শ্রেয়স তলপড়ে (Shreyas Talpade)। টানা ১০ মিনিট নাকি অভিনেতার হার্ট বন্ধ ছিল। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েই নতুন জীবন পেয়েছেন শ্রেয়স। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তিনি। বললেন বিস্ফোরক কথা।

সম্প্রতি কোভিশিল্ড (Covishield) প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা লন্ডনের আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে, তাঁদের ভ্যাকসিনে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই ভ্যাকসিনের কারণে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম বা টিটিএস নামের বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রভাব পড়েছে ভারতেও। এদেশে ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্ব ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর। সেই সেরামের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্বজনহারা মালা সিনহা, কাছের মানুষকে হারালেন স্বর্ণযুগের নায়িকা]
এমন পরিস্থিতিতেই নিজের হার্ট অ্যাটাক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন শ্রেয়স। 'লেহরে রেট্রো'র সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, "আমি ধুমপান করি না। রেগুলার ড্রিঙ্কারও নই। মাসে হয়তো একবার ড্রিঙ্ক করলাম। এছাড়া আর কোনও তামাক নয়। হ্যাঁ, আমার কোলেস্টেরল একটু বেশি। আমায় বলা হয়েছিল আজকাল এটাই স্বাভাবিক। এর চিকিৎসাও করিয়েছিলাম আর তাতে ফলও পেয়েছিলাম। যদি বাকি কারণ ধরি --- ডায়াবেটিস নেই, ব্লাড প্রেশার নেই, কিছুই তো নেই, তাহলে কারণ কী হতে পারে?"
এর পরই আবার অভিনেতা বলেন, "কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার পর থেকেই ক্লান্তি অনুভূত হতে থাকে। কিছু সত্যি তো থাকবে, আমরা পুরো থিওরি অস্বীকার করতে পারি না। হতে পারে এটি কোভিড বা ভ্যাকসিন, এর সঙ্গে কিছু না কিছু তো আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা সত্যিই জানি না আমাদের শরীরের ভিতরে কী আছে। হুজুকের স্রোতে বয়ে গিয়েছি আর কোম্পানিগুলোকে বিশ্বাস করেছি। এমন কোনও ঘটনা কিন্তু কোভিড-১৯-এর আগে শুনিনি।"