সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই জানা গিয়েছিল, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে ভোররাতে বোনদের নিয়ে থানায় ছুটতে হয়েছে উরফি জাভেদকে। কিন্তু কেন পুলিশের দ্বারস্থ হন? তখন সেকথা ফাঁস করেননি জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। শুধু জানিয়েছিলেন, রাতভর দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি। বুকে ভয় নিয়ে দিনের আলো ফোটার অপেক্ষায় ছিলেন। শেষমেষ সোমবার ভোরের আলো ফুটতেই বোনকে সঙ্গে নিয়ে থানায় ছোটেন। পোস্ট দেখে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন উরফি ভক্তরা। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার থানায় দৌড়নোর কারণ ফাঁস করলেন উরফি জাভেদ।
ঠিক কী ঘটেছে? এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই বিভীষিকাময় রাতের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন উরফি। জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের মন্তব্য, ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে ৩টে। আচমকাই আমার দরজায় ধাক্কা শুরু হয়। সঙ্গে ১০ মিনিট ধরে অনবরত কলিং বেলের আওয়াজ। গিয়ে দেখলাম, একজন লোক জোর করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে চাইছে। ওর পাশে আরেকজন দাঁড়িয়ে। আমি তৎক্ষণাৎ ওদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলি। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা। কিছুতেই যাচ্ছে না দেখে পুলিশকে ফোন করলাম অবশেষে। ওই সময়ে বাড়িতে আমি আর আমার দুই বোন ডলি, আসফি ছিলাম। খুব সম্ভবত ওই লোকটি আমাদের আবাসনেই ১৩ তলায় থাকে। তারপর?
উরফি জাভেদের সংযোজন, "ওই লোকগুলোর দাবি, ওদের মাথায় তাবড় নেতাদের হাত রয়েছে, তাই কারও পরোয়া করে না ওরা। এরপর আমার বাড়িতে পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে ওই লোক দুটি। পালটা পুলিশকে ধমকে-চমকে চলে যেতে বলে। এরপরই দাদাভাই নওরোজি থানায় যাই আমি।" সোমবার সকালে সেখান থেকেই একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন উরফি। বোন ডলি জাভেদের সঙ্গে একরাশ উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁকে। উরফি লেখেন, “ঘড়িতে এখন ভোর ৫টা। আর আমি এখন থানায় বসে রয়েছি। আমার জীবনের সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হল। গোটা রাত এক মিনিটের জন্যেও আমি আর আমার বোনরা ঘুমোতে পারিনি।” থানা থেকে সেই একই পোস্ট শেয়ার করেন উরফির বোন ডলিও। তাঁর মন্তব্য, “আমি ভেবেছিলাম, মুম্বই বোধহয় নিরাপদ। কিন্তু এত ভয়ানক! গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। এমন বিরক্তিকর এবং অনিরাপদ বোধ করলাম এই শহরে।”
