টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়ার তাজপুর। সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। জখম হয়েছেন দু’পক্ষের মোট ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ভরতি করা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে।
দোড়গোড়ায় ভোট। চলতি মাসেই প্রথম দফার নির্বাচন বঙ্গে। ফলে ইতিমধ্যেই জোড়কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় দেওয়াল লিখন এখনও শুরু হয়নি। তবে দেওয়াল দখল করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর এই দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বড়জোড়ার তাজপুর। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল দীর্ঘদিন আগেই এলাকার বেশ কিছু দেওয়াল দখল করে রেখেছিল। গতকাল রাতে বিজেপির কর্মীরা সেই দেওয়ালে তাঁদের প্রতীক আঁকে। প্রতিবাদ করে তৃণমূল নেতারা। এরপর বিজেপির দখল করা দেওয়ালে তৃণমূলের প্রতীক আঁকে ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। তখনই শুরু হয় বচসা।
[আরও পড়ুন: ‘ছোট হয়েই লড়তে রাজি’, কংগ্রেসের ছাড়া আসনে সন্তুষ্ট আব্বাস, কাটল জোটের জট]
ক্রমেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপির কর্মীরা। লাঠি, বাঁশ দিয়ে চলে আক্রমণ। গুরুতর জখম হন ১০ জন। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ভরতি করা হয় বড়জোড়া হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, “গতকাল সকালে শুভেন্দুর পোস্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিজেপির মধ্যে অশান্তি তৈরি হয়েছিল। রাতে ওরা তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলা করে।” সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে তাজপুরে আমাদের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে কর্মীদের মনে ক্ষোভ ছিলই। এদিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কর্মীরা।” ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।