নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মুর্শিদাবাদের পঞ্চায়েত সদস্য খুনে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশকে (Police) লক্ষ্য করে গুলি চালায় খুনে অভিযুক্ত। গুলি লাগে অভিযুক্তের আশ্রয়দাতার পায়ে। তারপরই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই আশ্রয়দাতাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও বর্তমানে সে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের কুরনুরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মোস্তাফা শেখ বাইক নিয়ে সুন্দরপুর মোড়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাজ্য সড়ক ধরে ফেরার পথে চৈত্রপুর-রাজহাট গ্রামের মাঝে মাঠে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে। তারপর চলে বোমাবাজি। বোমার আঘাতে বাইক থেকে পড়ে যান মোস্তাফা। তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি (Shootout) চলে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে। তারপর ধানখেতের পাশে তাঁকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: Kabul থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে Taliban, আফগানিস্তানে নতুন ফৌজ পাঠাচ্ছে America]
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সবুজ শেখ। সে বাইকে চড়ে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বড়তুরি গ্রামের বাসিন্দা আপেল শেখের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী গভীর রাতে ওসির নেতৃত্বে রামপুরহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী আপেল শেখের বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ আসার কথা টের পাওয়ামাত্রই আপেল শেখের বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। পালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পুলিশের বদলে গুলিবিদ্ধ হয় অভিযুক্তের আশ্রয়দাতা আপেল শেখ। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। ইতিমধ্যেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এলাকা ছাড়ে সবুজ। জখম আপেল শেখকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেথানেই চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, “খুনের পর বাইকে চড়ে আপেল শেখের বাড়িতে চলে যায় সবুজ। খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তারির উদ্যোগ নেয় পুলিশ। তবে সে পালিয়ে গিয়েছে। সে আদতে বর্ধমানের বাসিন্দা। তার খোঁজে এলাকায় নাকা তল্লাশি চলছে।” তৃণমূল পঞ্চায়েত খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটক ১২।