সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী দিন বড় বিপদের। ঝড়বৃষ্টি দাপট দেখাবে গোটা বিশ্বে। সেই কারণে আগাম পূর্বাভাস পেতে আরও একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করছে নাসা (NASA)। যাতে নতুন করে ১৭৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকাশ্যে আনবে। ২০২৭ সালের মধ্যে নাসার এই প্রকল্প ঝড়বৃষ্টি সম্পর্কে আরও সাবধান করতে পারবে বলে আশা।
নিরক্ষীয় ঝঞ্ঝা কিংবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি – প্রকৃতির এই রুদ্রূরূপ আছড়ে পড়ার আগাম কোনও ইঙ্গিত মিলবে কি? এর প্রভাবে কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) আরও ত্বরান্বিত হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আরও সুনির্দিষ্টভাবে খুঁজে পেতেই নাসার এই নতুন প্রকল্প। সূত্রের খবর, পৃথিবীর কক্ষপথের অদূরেই ছোট কয়েকটি উপগ্রহ (Satellites) পাঠানো হবে। বলা হচ্ছে, এই মেঘসঞ্চার, নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার মতো প্রাকৃতিক ঘটনার নেপথ্যে যথাযথ বৈজ্ঞানিক কারণ যদি আগে থেকে বোঝা যায়, তাহলে তা হবে আবহাওয়া বিজ্ঞানের এক বড় সাফল্য। আর নির্দিষ্ট স্থানের সাপেক্ষে তা যদি বলা যায়, তবে তা আরও সুবিধাজনক হবে।
[আরও পড়ুন: আগামী ৬ মাস শূন্যেই ঘরবাড়ি, তিন সঙ্গীকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় বংশোদ্ভূতর]
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (JPL) তরফে এই প্রকল্পের তোড়জোড় করছে। নাসার আর্থসায়েন্স বিভাগের ডিরেক্টর ক্যারেন সেন্ট জার্মেনের কথায়, ”জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রকট। তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের আরও দ্রুত জানা দরকার কীভাবে ঝড়ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে। তাহলে আবহাওয়া বিজ্ঞান আরও কয়েকধাপ এগোবে। আর নির্ভুলভাবে আগাম সতর্কবার্তাও দিতে পারব।”
[আরও পড়ুন: জলবায়ুর পরিবর্তনই ভিলেন! পৃথিবীতে প্রথমবার এই অসুখে আক্রান্ত বৃদ্ধা, নয়া আশঙ্কা]
মার্কিন ভূবিজ্ঞান ও আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভারতীয় মহাসাগরে উপর তৈরি হচ্ছে প্রবল শক্তিশালী ঝড় – হারিকেন। এরপর আটলান্টিক মহাসাগরেও একইরকম ঝঞ্ঝা তৈরির সম্ভাবনা। এসব নিয়ে আরও নিঁখুত আগাম ইঙ্গিত পেতে আগামীতে আরও অর্থব্যয় করছে নাসা। সেই অঙ্ক কম নয় – ১৭৭ মিলিয়ন ডলার।