নব্যেন্দু হাজরা: ফের সারপ্রাইজ ভিজিটে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুর সোয়া বারোটা নাগাদ আচমকাই ভূমি সংস্কার ও অর্থদপ্তরে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দপ্তরের কর্মীদের উপস্থিতির হার নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। দপ্তরের সচিবদের কাছে কাজের হাল হকিকত ও গতি সম্পর্কে জানতে চান। কিছুদিন আগেই হঠাৎই স্বরাষ্ট্রদপ্তর ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তরে আচমকা হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময় কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
এদিন বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ নবান্নের লিফট থেকে সাততলায় নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের সাততলাতেই রয়েছে ভূমি সংস্কার দপ্তর। ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠকে এই দপ্তরের কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এদিন সেই দপ্তরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের হাজিরা কত, সচিবের কাছে জানতে চান। কাজের গতি নিয়েও প্রশ্ন করেন। এরপর কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কুশল সংবাদও জিজ্ঞেস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের ছেলেমেয়ে কেমন আছেন তাও জানতে চান তিনি। সচিবের সঙ্গে আলাদাভাবেও কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পালটা বিজেপির নারায়ণ ভাণ্ডার! ঘোষণা সুকান্তর]
এরপর লিফটে চেপে সোজা ১২ তলায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রয়েছে অর্থদপ্তর। দপ্তরের সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কাজের গতি, কর্মীদের হাজির নিয়ে তথ্য জানতে চান। তিনি একান্তে সচিবকে বেশ কিছু নির্দেশ দেন বলেও খবর। এদিনের সারপ্রাইজ ভিজিটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এইক কে দ্বিবেদী।
উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এর জেরে বিভিন্ন দপ্তরের কাজের গতি শ্লথ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নবান্নের কোন কোন দপ্তরে হাজির কম থাকছে, তা স্বচক্ষে দেখতেই বিভিন্ন দপ্তরে মাঝেমধ্যেই হাজির দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।