সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui) কাণ্ডে জেপি নাড্ডার কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। ওই রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে সেই ইস্যুতেই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা তাঁর।
বুধবার সকালে বাংলার বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী ব্রজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ শ্রী কেসি রামমূর্তি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে যান। বগটুই কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। বিজেপি নেতারা রিপোর্টে লিখেছেন, “তৃণমূল নেতা এবং পুলিশের নেতৃত্বে বাংলায় মাফিয়ারাজ চলছে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। সরকারের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন রাজ্যবাসী। গুন্ডারাজ, কাটমানি, তোলাবাজি এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে বগটুই কাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামে আগুন নেভাতে দমকলকেও যেতে দেয়নি। তাঁরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হয়তো প্রাণ বাঁচত অনেকেরই। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। জাতীয় নারী সুরক্ষা কমিশন এবং শিশু ও নারী সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা যাতে বগটুই গ্রামে গিয়ে সকলকে আস্থা জোগান, সেটাই অনুরোধ করব। আমরা মনে করি বাংলার সকল সরকারি আধিকারিকদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। কেন্দ্রের এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”
[আরও পড়ুন: লখনউয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার! শামিকে শুভেচ্ছা জনপ্রিয় পর্নস্টারের]
বিজেপির এই ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ রিপোর্টে রীতিমতো ক্ষু্ব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পালটা অভিযোগ, “বগটুইয়ের তদন্তে সিবিআইকে (CBI) সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কীভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম বলল? কী করে জানছে কে ঘটনায় জড়িত? আসলে বিজেপি চায় ওকে গ্রেপ্তার করা হোক।” বিজেপির রিপোর্ট ‘সারবত্তাহীন’ বলেও কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।
মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা জবাব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, “এত বড় ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাই রিপোর্টে ভুল কিছু থাকতে পারে না।”
এদিকে, এদিন সকালে দার্জিলিংয়ের মহাকাল মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের সামনে আরতি করেন তিনি।
এরপর জনসংযোগও করেন। মাত্র ২৫ দিনের একটি শিশুকে কোলে তুলে নেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিটিএ নির্বাচন করার কথাও বলেন।